চিকিৎসকদের গবেষণার প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই

চিকিৎসকদের ‘প্রাইভেট প্র্যাকটিস’ কমিয়ে দিয়ে গবেষণার প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলসি এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন। আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা একটা জায়গায় একটু পিছিয়ে আছি, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর চিকিৎসা চিত্রে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালের সংখ্যা ও শয্যাসংখ্যা এখন অনেক বেশি। একই সঙ্গে রোগনির্ণয়ের সুযোগ এখন বেসরকারি খাতেই বেশি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চিকিৎসাসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত সরকারি খাতের চেয়ে এগিয়ে আছে। চিকিৎসা খাতের এই অগ্রগতি এগিয়ে নিতে স্বাস্থ্যখাতে নতুন নতুন গবেষণা ও আবিস্কার সময়েরই দাবি। প্রধানমন্ত্রী সেই বিবেচনায় গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি গবেষণার জন্য প্রতিবন্ধকতার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। শুধু অর্থ উপার্জনের প্রতি মেধাকে চালিত না করে মানুষের কল্যাণে গবেষণার প্রতি মনোনিবেশটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রথম ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে গবেষণার জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কার্যক্রম উৎসাহিত করতে ‘গবেষণা দিবস’ উদযাপন করা হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের গবেষণা কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় পিছিয়ে থাকার দৈনতা অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে। চিকিৎসকদেরই এই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।