জুন মাসে রাজশাহীতে ১৭ নারী ও শিশু বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত

আপডেট: জুন ৩০, ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ণ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:


মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে।

এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। জুন মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – বাঘা উপজেলার বাউসা ফতেপুর বাউসা গ্রামের মৃদুল হক (১৪) কে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ প্রতিবেশী ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে, তানোরে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ, তানোর উপজেলায় আপেল (১৭) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা, নগরীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র স্কুল শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার, তানোর উপজেলায় রুমা খাতুন নামে এক ছাত্রীর বিষপান করে আত্মহত্যা, পুঠিয়া উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, পবা উপজেলার দামকুড়ায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগ, পুঠিয়ায় জান্নাতুল আরবী (১৮) নামে এক ছাত্রীর আত্মহত্যা, নগরীতে গণ ধর্ষণের শিকার এক নারী, বাগমারায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার, বাঘায় সূর্য্য বেওয়া (৮০) নামে এক নারীর আত্মহত্যা, নগরীতে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, তানোরে স্ত্রীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, বাঘায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার, চারঘাটে রহিমা আক্তার রেমি (২৪) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা, বাঘায় শামসুরন্নাহার নামে এক নারী নির্যাতনের শিকার, রাবি শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারের রহস্য জনক মৃত্যু। ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক। লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক।

রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version