সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার ঈশ্বরদীতে তপু হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন নিহত তপুর নিজ এলাকা মশুরিয়া পাড়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব চত্বরে ও স্টেশন রোডে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন চলাকালীন পথসভায় বক্তব্য দেন নিহত তপুর বাবা আবুল কাশেম, মা মজিরন বেগম, চাচা আবুল হোসেন, বড় ভাই অপু হোসেন, এলাকাবাসী তফেজ্জল হোসেন, সোহেল রানা, মানিক হোসেন, সাহাবুল হোসেন প্রমুখ।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চলাকালীন আদরের সন্তান তপুকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানান, তপুর বাবা-মা, ভাইসহ এলাকাবাসী। এসময় বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে নিহত তপুর মা মজিরন বেগম বারবার তার সন্তানের হত্যাকারীদের ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই’ বলে চিৎকার করেন
। তপুর বাবা আবুল কাশেম বলেন, আমার ছেলে তপুকে হত্যা করার সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী হাঁসু জড়িত রয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকে সে উধাও হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশ এখনো তাকে আইনের আওতায় আনছে না।
তাকে গ্রেপ্তার করলে এই হত্যাকাণ্ডে আরো যারা জড়িত আছে তাদের নাম পাওয়া যাবে। তিনি অবিলম্বে মাদক ব্যবসায়ী হাঁসুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে তপু হত্যায় সরাসরি জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: গত ১৫ জুন দুপুরের পর কিশোর তপু হোসেন নিখোঁজ হয়। তাকে অপহরণের সাতদিন পর গত শনিবার (২২ জুন) রাত ১২টার দিকে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তিন তলার ৩০৫ নং কক্ষের ট্রাঙ্ক থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী ক্রাইমসিন ডিপার্টমেন্টের একটি বিশেষ দল।
মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের কারণে একটি ছাত্রাবাসের রুমে আটকিয়ে ভয়ভীতি দেখাতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে তপু হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার জয়নাল আবেদিন জয় ও ঈশা খালাশি।