পাবনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাহার বিশ্বাস (৫৪) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত মোজাহার বিশ্বাস সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীনগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব গ্রুপের কর্মী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে শাহীন গ্রুপের আলামিন মিয়া (৩৫) নামে একজন নিহত হন।

এ ঘটনায় জেরে ওই এলাকার বেশকিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, সোজাহার বিশ্বাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। ঢাকাতেই ময়নাতদন্তের হবে। মরদেহ আসার পর এবং থানায় লিখিত অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পর-পরই এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা-চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, আগে যে মারা গেছে সেও আমার কর্মী, এখন যে মারা গেছেন সেও আমার কর্মী, তারা আ’লীগের কর্মী। আমি উভয় হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি যারা বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই, যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ-সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, যেদিন যুবলীগ নেতা আল আমিন নিহত হয়, ঘটনার পর-পরই সেদিন নিহতদের লোকজন সেই মোজাই বিশ্বাসের অবস্থান জানতে পেরে তাকে মারধর শুরু করে। সেই মারামারিতে মুজাই বিশ্বাস আহত হয়। হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাক তার বিচার হয়া উচিত। এখানে আমার লোক, অমুকের লোক বলে কোনও কথা নেয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version