তানোরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজের ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট: জুন ২৮, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ

তানোর প্রতিনিধি:


রাজশাহীর তানোরে ইউপি সদস্য লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে রাস্তার কাজ না করে ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুৎফর রহমান উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বাড়ি ইউপির ধানোরা গ্রামে। সে দুটি হেয়ারিংবন্ড রাস্তার কাজ নামমাত্র করে পুরো টাকা এবং মসজিদের নামে বরাদ্দের প্রায় তিন লাখ টাকা আত্মসাত করেন। চকপ্রভুরাম মসজিদ ও গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা।

এঘটনায় ধানোরা গ্রামের ইয়াহিয়া নামের এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ও অভিযোগের কপিতে গ্রামের ২৪ জন ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তে সোচ্চার হয়ে উঠেছে কয়েকগ্রামের বাসিন্দারা।

অভিযোগ উল্লেখ, উপজেলার মাদারিপুর হতে খড়িবাড়ি পাকা রাস্তার চকপ্রভুরাম জামে মসজিদ হতে মৃত পিয়ার মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত হেয়ারিংবন্ড রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রায় চার লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু মাত্র ৬০/৭০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। হেয়ারিংবন্ড কাজে কোন বালু ব্যবহার হয়নি, তার পরিবর্তে মাটি ব্যবহার এবং যাতামাতা ভাবে ইট নামমাত্র সাজিয়ে রেখে পুরো টাকা লুট করেন ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান।

একই কায়দায় মাদারিপুর হতে হরিপুর পাকা রাস্তার জৈনক তৈবুরের বাড়ি হতে মালেকের বাড়ি পর্যন্ত হেয়ারিংবন্ড রাস্তার কাজ করা হয়। একাজে প্রায় দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য মাত্র ২০/২৫ হাজার টাকার কাজ করে পুরোটাই লুট করেন। এছাড়াও চকপ্রভুরাম জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউপি সদস্য মসজিদ কমিটিকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পুরোটায় তছরুপ করেন। এসব উন্নয়ন মুলুক কাজের বরাদ্দ গুলো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেম্বারকে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ কারী ইয়াহিয়া বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে মসজিদের টাকা আত্মসাত করেন সেটাই বড় প্রশ্ন। সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই আমার দাবি।

জানা গেছে, এসব বরাদ্দ গুলো পিআইও অফিস থেকে ইউনিয়ন পরিষদে দেয়া হয়। সেখান থেকে ইউপি সদস্যদের বরাদ্দ দেয় চেয়ারম্যান। তবে পিআইও অফিস থেকেই বরাদ্দের ৪০% টাকা কেটে নেয়া হয় বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। প্রতিটি বরাদ্দের ক্ষেত্রেই পারসেন্ট কাটা হয় বলেও অহরহ অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে কাজ করা হয়েছে সেটা নিয়ে এখন অভিযোগ দিচ্ছে। আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। আমাকে হেয় করতে এবং সামাজিক ভাবে মান ক্ষুন্ন করতেই প্রতিপক্ষরা এমন অভিযোগ দিয়েছেন।

তদন্ত কারী কর্মকর্তা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী শাহিন সালাম জানান, গত বৃহস্পতিবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version