তীব্র তাপপ্রবাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর গুটি, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা চাষীদের

আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ


শাহীন রহমান, পাবনা:


প্রচণ্ড গরম আর খরায় পাবনায় ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। তীব্র তাপপ্রবাহে দিশেহারা চাষীরা। কোনোভাবেই গুটি ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছেন না তারা। এতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ চাষীদের।

গত দু’সপ্তাহ ধরে সূর্যের আচরণে ওষ্ঠাগত প্রাণ প্রকৃতি। বর্তমানে পাবনায় একচল্লিশ থেকে বিয়াল্লিশ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র তাপপ্রবাহে বিরুপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। প্রচণ্ড গরম আর খরায় ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি।

এবছর প্রচুর মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখেন চাষীরা। বর্তমানে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লিচুর গুটি। কিন্তু চাষীদের স্বপ্নের রঙ ফিকে হয়ে গেছে। গত দু’ সপ্তাহের তাপপ্রবাহে অব্যাহতভাবে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি।

শুধু লিচু নয়, আমের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি। নানাভাবে চেষ্টা করেও আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধ করতে পারছেন না চাষীরা। এমন পরিস্থিতিতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

আওতাপাড়া গ্রামের লিচু চাষী আব্দুল মজিদ জানান, এবার যে পরিমাণ মুকুল এসেছিল আমরা খুব স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু তীব্র খরার কারণে লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক লিচুর গুটি ঝরে পড়েছে।

নাজিরপুর গ্রামের লিচু চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বছর হঠাৎ করে এত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে আমরা কল্পনাও করিনি। নানা ভাবে লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে লোকসান গুণতে হবে।

চাষীদের অভিযোগ, আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে পাচ্ছেন না তারা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ ও গুটিতে পানির স্প্রে করলে ঝরেপড়া রোধ করা সম্ভব। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পাবনা জেলায় এ বছর ৪ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদের বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্টিকটন। আর ২ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে আম আবাদের বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্যামাত্রা রয়েছে ৪৩ হাজার ৬০০ মেট্টিকটন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ