নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন একাধিক প্রার্থী

আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ণ


মো. সিরাজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ) :


আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সকল মহলে আলোচনা চলছে আগামী ৫ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে হবেন? তবে ভোটাররা বলছেন, এখন পর্যন্ত আ’লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীদের প্রচারণা না থাকায় আ’লীগের নেতাদের মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন। একাধিক প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রচারণায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত কতজন নির্বাচনে থাকবেন সেটি নিয়েও চলছে জোর আলোচনা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ২১ মে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় ৭৮ টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭৭৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫৯৮ জন, নারী ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৭৭ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২ জন।

এদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের পক্ষে প্রচারণাও চালাচ্ছেন কর্মীরা। সব মিলিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে।

নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি ইশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, ভাবিচা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক, জাতীয় শ্রমিক লীগ উপজেলা শাখার সভাপতি হাসান মাহমুদ ও জেলা আ’লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।

বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না সেটি স্পষ্ট করায় উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে কাজ করা একাধিক নেতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রচারণা শুরু করেছেন।

নির্বাচন ঘিরে আ’লীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের অস্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানান ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা বলছেন শেষ পর্যন্ত কারা নির্বাচনে থাকবেন দেখে শুনে পক্ষ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। আবার অনেকে বলছেন দলীয় প্রতীক ও দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় সাধারণ ভোটার হিসেবে তাঁরা তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে কথা বললে তাঁরা প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশ আ’লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী মহল থে

কে ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করার সুযোগে এবারের নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করতে চান।
সবমিলিয়ে নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে সাধারণ ভোটারদের মনে। তাঁরা বলছেন যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট প্রদানের সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ