পদ্মায় ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু II এলাকায় শোকের ছায়া

আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চরশ্যামপুর এলাকায় নদীতে ডুবে যায় কিশোররা। দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

নিহতরা হলেন, পবা উপজেলার কাটাখালীর বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৪), লিটনের ছেলে মোস্তাকিন আরিফ (১৪)। তাদের মধ্যে আলিফ দেওয়ানপাড়া মাদ্রাসার ছাত্র, নুরুজ্জামান জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়ে ও যুবরাজ বাখরাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়ায় সকালে ফুটবল খেলেছে। এর পরে সাতজন কিশোর পদ্মা নদীতে গোসলে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি চারজন চেষ্টা করলেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাদের মরদেহ বাখরাবাজ দক্ষিণপড়ার আম বাগানে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে আশে-পাশের এলাকার মানুষ তাদের মরদেহ দেখতে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উদ্ধার হওয়া কিশোর তামিম জানান, তারা সবাই এক সাথে পদ্মা নদীতে গোসলে গিয়ে ছিল। গোসলের এক পর্যায়ে যুবরাজ পানিতে তলিয়ে যায়। তারপরে নূরুজ্জামান ও আরিফ পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানে অনেক পানি। কারণ বালু উত্তোলন করার ফলে সেই জায়গা গর্ত হয়ে আছে।

নিহতের চাচাতো ভাই সারোয়ার হোসেনা জানান, তিন জনের মরদেহ দেওয়ানপাড়া মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফন করা হবে। পাশাপাশি তাদের কবর খনন করা হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন জানান, তারা সাত বন্ধু দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে ডুবে গেছে। সেখানে বেশি পানি ছিল না। তবে পাশেই পানি শোধনাগারের ১০টি মোটর চলে, হয়তো পাশেই গভীরতা বেশি ছিল। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। যুবরাজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।