প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে

আপডেট: মে ৬, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে


দেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর। দেশের অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংবাদ মাধ্যমের তথ্য বলছে, প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং নতুন নতুন বাজার তৈরি হওয়ার কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এসময়ে ২০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আগের যে কোনও বছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক-পণ্য রপ্তানি হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন, ভারত ও নেপালে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করা হয়। বাংলাদেশ বিনিযোগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গবেষণায় দেখা গেছে, নানা ধরনের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করলেও প্যাকেজিং পণ্যের বেশিরভাগই টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার।

প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির মতে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প মূলত একটা এসএমই খাত। তাই এ খাতের উদ্যোক্তারা বিদেশে প্রয়োজনীয় মার্কেটিং করতে পারছে না। যথাযথ উপায়ে বিপণন করা গেলে রপ্তানি ১০০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।

তথ্যমতে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৪২টির বেশি পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশ প্রধানত ফিল্ম প্লাস্টিক, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রপ্তানি করে। এইখাতের ব্যবসায়ীরা আশা করছে এবছর প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্লাস্টিক পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক পণ্য গৃহস্থালি কাজে ব্যাপকভাবে চাহিদা মিটাচ্ছে। মানুষের জীবন সহজিকরণে প্লাস্টিক পণ্যের ভূমিকা অনেকটাই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্লাস্টিক পণ্য প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। পোশাক শিল্পের মতই প্লাস্টিক শিল্পকে গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং এ খাতে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।