বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা

আপডেট: জুন ২৮, ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমানকে। এছাড়াও এই মামলায় আরও ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আবুল কালাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি বাদী রাজশাহী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি বাঘা থানায় মামলা না নেওয়ারও অভিযোগ করেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ২২ জুন ঘটনার দিন তাদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাদের মামলা গ্রহণ করেনি। তিনি আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে ঘটনার পাঁচদিন পর আদালতে মামলা দায়ের করা হলো।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, আদালতের বিচারক মো. হাদিউজ্জামান তাদের মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য বাঘা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। তাকে ওইদিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর ২৬ জুন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির বাড়তি টাকা আদায়কে সমর্থন দেওয়া বা না দেওয়া এবং আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাজশাহী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর সেদিনই দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাল্টা মামলা হিসেবে আদালতে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে ।