১০৫ বছর বয়সেও পরিবারের খাবারের জন্য আবুল কালামের শাক-শবজি চাষ

আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ


রাশেদুল হক ফিরোজ, বাগমারা:


ভাতের অভাবে একাত্তরে নিজ জন্মস্থান ফরিদপুর ছেড়ে চলে আসেন মৃত মোজাহার প্রামানিক এর ছেলে আবুল কালাম প্রামানিক। প্রথমে তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিপ্রবোয়ালিয়া গ্রামে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে চলে আসেন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের নিমপাড়া গ্রামে। বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে নিমপাড়ার পাশর্^বতি যাত্রাগাছি দিঘীরপাড়ের সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত একটি বাড়িতে।

আবুল কালাম প্রামানিক জানান, আত্রাই এসে বিপ্রবোয়ালিয়া গ্রামে থাকার পর সেখানে বিয়ে করেন তিনি। সেখানে ছয় ছেলে জন্ম লাভ করেন। এরমধ্যে বড় ছেলে মারা যায়। স্ত্রীও মারা যায়। পাঁচ ছেলেও থাকে অভাব অনটনে। ছেলেরা নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অসহায় হয়ে পড়ে আবুল কালাম। প্রায় বিশ বছর আগে আত্রাই থেকে চলে আসেন বাগমারার নিমপাড়া গ্রামে। এখানে এসে আবার বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী কে নিয়ে বসবাস করছেন যাত্রাগাছি দিঘীরপাড়ে নির্মিত সরকারী বাড়িতে। আয়ের কোন পথ নাই তার। তবে দিঘীরপাড় ঘেষে পরিবারের খাবারের জন্য নানা শাক-শবজির চাষ করেছেন। লালশাক, পুঁইশাক, পালং শাক, টমেটো, বেগুন, মরিচ, পেঁপেসহ নানা শাক-শবজি চাষ করেছেন। পাশে কিছু জমিতে কলাগাছ, পেয়ারা চারা লাগিয়েছেন তিনি। আরো জায়গা পেলে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফসলের চাষাবাদ করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, তার বয়স ১০৫ বছর। নিজেদের খাবারের চাহিদা মেটাতে তিনি মৌসূমী আবাদ করে থাকেন সেখানে। বিভিন্ন বিজ, চারা, সারসহ সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে তিনি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে শাক-শবজি ও ফল-ফলাদি বাজারজাত করতে পারতেন বলে জানান আবুল কালাম।