আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এমপি ফারুক চৌধুরীকে শোকজ

আপডেট: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:১০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (০৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ ফারুক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

এর আগের দিন শনিবার বিকেলে ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর পৌরসভার গোকুল ও বুরুজ এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করেন। এসব সমাবেশ থেকে তিনি আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে নৌকার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।
তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগে এ ধরনের সমাবেশ নির্বাচনী আচরণ-বিধির লঙ্ঘন।

ওমর ফারুক চৌধুরীকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জানতে পারে যে, ওমর ফারুক চৌধুরী প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিধি লঙ্ঘন করে তানোরে ২টি সভা করে নৌকায় ভোট চান। এটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৬ (ঘ) এর বিধি ১২ লঙ্ঘন। এটি নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।

ওমর ফারুক চৌধুরী কেন আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের সভা করেছেন তা আগামী মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের (দ্বিতীয় আদালত) কার্যালয়ে লিখিত ব্যাখা দেওয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য রয়েছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণ-বিধি ভেঙে তানোর ও গোদাগাড়ীতে উপকারভোগীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করে নৌকায় ভোট চান।

এসব সমাবেশ নজরে আসলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেন। এর ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবেদন দেন।

ইসি এই সংসদ সদস্যকে সতর্ক করার জন্য একটি চিঠি দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে সতর্কও করেন। কিন্তু কয়েকদিন পার না হতেই তিনি আবার আচরণবিধি ভেঙে সভা করেন। এবার তাকে এর জবাব দিতে হচ্ছে অনুসন্ধান কমিটির কাছে।

বিষয়টি নিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরীকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার সাথে কথা বলা যায়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ওমর ফারুক চৌধুরীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, এক শ্রেণির সাংবাদিকেরা তাকে সব সময় আলোচনায় রাখতে পছন্দ করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ