ইদে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪০৭ জনের

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


এবারের ইদে গতবারের তুলনায় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। ইদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ইদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ইদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।
একই সময়ে রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৮টি। এতে ২৪ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ২১ জন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৫ জন। সড়ক, রেল ও নৌ পথ মিলে মোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪২৪ জন।

২০২৩ সালের ইদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৩০৪টি। এসব দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং ৫৬৫ জন আহত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালের সাথে তুলনা করলে এবারের ইদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রাণহানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে ইল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর ইদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সংগঠনটি ইদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ইদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি মানুষের যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে।

সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে ছিল। গণপরিবহনগুলোতে ইদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ইদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে তথ্যমতে মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ইদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ