ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি রেকর্ড II তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে II অসহনীয় লোডসেডিং II ওষ্ঠাগত জীবন-প্রাণ-প্রকৃতি II আম-লিচুর কড়িতে ক্ষতি

আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:পাবনার ঈশ্বরদীতে গত ৫ দিন ধরে টানা তীব্র-তাপ্রবাহ বয়ছে। প্রচন্ড গরমের সাথে যোগ হয়েছে ঘন্টায়-ঘন্টায় বিদ্যুতের লোডসেডিং। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে, জীবন এবং প্রাণ-প্রকৃতি। গত ২ এপ্রিল হতে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠানামা করছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল শনিবার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, এবছরে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস একে ‘তীব্র তাপ্রবাহ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এদিকে দিনে রাতে মিলিয়ে প্রতিদিন ঘন্টায় ঘন্টায় লোডসেডিং দেওয়ার কারনে নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইফতার কিংবা সেহরির সময়েও শহরের কোন না কোন এলাকায় থাকছে লোডসেডিং।

শহরের পূর্বটেংরি এলাকার শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ৪ দিন ধরে সারাদিনে কতবার যে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করেছে তার হিসাব নেই। এলাকা ভেদে পরপর পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে দিনে যেমন অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ঈদের বাজারে কাহিল অবস্থা তেমনি রাতেও ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না মানুষ। ইফতারি ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান, সাঁড়াগোপালপুর গ্রামের সাগর সরদার। উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন’র রূপপুর গ্রামের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম-বাবু বলেন, গরমের কারণে রোজা রাখতে সমস্যা হচ্ছে। ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। তারাবি নামাজ পড়ার সময়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।

দিনমজুর কোরবান আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যে গরম পড়ছে তাতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এই অবস্থায় রোদে-গরমে কাজ করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। তবুও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে। এদিকে প্রচন্ড গরমে ঈশ্বরদীর লিচু উৎপাদন কারী এলাকার গ্রামে গ্রামে লিচু গাছে সেচ দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা লিচু ও আমের গুটি বা কড়ি ঝরে পড়া। গাছ থেকে ঝরে পড়ছে লিচু ও আমের কড়ি। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, এই মৃদু তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হলে আরো ক্ষতির মুখে পড়বে আম ও লিচুর আবাদ।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষক নাজমুল হোসেন রঞ্জন জানান, গত ২ এপ্রিল থেকে ঈশ্বরদীতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন এই অবস্থা আরো দুএকদিন থাকতে পারে। ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নেসকোর আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, চাহিদা যেখানে ২০ থেকে ২২ মেগাওয়াট সেখানে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ