ঈশ্বরদীর গ্রামে দুই বাংলার কবিদের নিয়ে তিনদিনব্যাপি চরনিকেতন সাহিত্য উৎসব

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


পাবনার ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত গ্রাম চরগড়গড়িতে তিনদিনব্যাপি ‘চরনিকেতন সাহিত্য উৎসব’ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শেষ হয়েছে। বৈশাখের প্রথম দিন গত রোববার শুরু হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এই উৎসবের সমাপ্তি হয়। দুই বাংলার দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনের অংশগ্রহণে এই সাহিত্য উৎসবকে কেন্দ্র করে চরগড়গড়ি গ্রামে উৎসবমুখর আবহের সৃষ্টি হয়।

ঈশ্বরদীর বিকেলে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনদের অংশগ্রহণে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে বেসরকারি সংস্থা ওসাকা চত্বরে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ সাহিত্য উৎসবের সূচনা হয়। এর আগে কবি-সাহিত্যিকেরা এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

উৎসবে কবি ও শিশুসাহিত্যিক আসলাম সানী, কবি জাহিদ হায়দার, ফ্রান্স থেকে আগত কবি আমীরুল আরহান, ভারত থেকে আগত কবি শেলি সেন গুপ্তা, অধ্যাপক ড. বরেন্দ্র মন্ডল, বাচিক শিল্পী স্বপ্না দে, আবৃত্তিকার রত্না দে, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণসহ ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনেরা অংশগ্রহণ করেন। এসব আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কবি মজিদ মাহমুদ। পুরস্কার বিতরণ, সম্মাননা প্রদান, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়।

সভাপতির বক্তব্যে কবি মজিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের চরগড়গড়ি গ্রাম শিক্ষাদীক্ষা ও শিল্পসাহিত্যের সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ২৭ বছর ধরে আমি এই এলাকাতে বাংলা সাহিত্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলা সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক গর্বের। যেহেতু এ এলাকাটি পশ্চাদপদ, তাই এখানে শিল্প-সাহিত্যের আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রতিবছর এই আয়োজন চলে আসছে। ধারাবাহিকভাবে এ আয়োজন চলমান থাকবে।’ সাহিত্য চর্চা ও গবেষণার জন্য চরনিকেতনে সাহিত্য একাডেমি গড়ে তুলতে চাই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ