চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট: জুন ৩০, ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি গ্রাম্য সালিশের মধ্যেই প্রকাশ্যে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারোরশিয়া জয়নাল হাজীর টোলা গ্রামবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ জুন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি গ্রাম্য সালিশের মধ্যেই প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করছে না। এমনকি হত্যাকারীরা এখনও নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের দিন থেকেই পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। এমনকি হত্যার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে নিহতের ছবি তুলতে দেয়নি পুলিশ। কয়েকজন আত্বীয় স্বজনের ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন আসামী আটক করছে না।

নিহত প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুর স্ত্রী রাহাতুল জান্নাত রিয়া বলেন, আমি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। একটি ছেলে আছে। ২ সন্তান এতিম হয়েছে হত্যাকারীদের নির্মম হত্যাকান্ডে। আমি এর বিচার চাই। মাত্র সাত মাস হয়েছিল দেশে আসা। আবারও প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হত্যাকারীদের কারনে সব শেষ হয়ে গেল।

নিহতের বাবা তোফাজ্জুল হক বলেন, ঘটনার দিন আমরাই যেই ২ জন হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশকে দিয়েছিলাম, তারা ছাড়া আর কাউকেই আটক করেনি পুলিশ। আসামীদের সাথে আতাত করে উল্টো আমাদেরকেই আসামীদের অবস্থান জানতে চাইছে। তাহলে তারা আসলে কি কাজ করছে? সরকারের নিকট দাবি জানায়, প্রকাশ্য দিনের বেলায় এমন হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

এসময় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানায় গ্রামবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত প্রবাসী আব্দুল খালেক টিংকুর বাবা তোফাজ্জুল হক, মা দুলালী বেগম, স্ত্রী রাহাতুল জান্নাত রিয়া, বোন লিমা খাতুনসহ অন্যান্যরা।

এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামপুর তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম জানান, আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। আশা করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Exit mobile version