জয়পুরহাটে চারটি নদী পুনঃখননের সুফল পাচ্ছে নদী তীরবর্তী মানুষ

আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ৯:৩০ অপরাহ্ণ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি:


জয়পুরহাটের চারটি নদী পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। যার ফলে নদীর নাব্যতা ফিরে এসেছে। বেড়েছে নদীর ভূ-উপরিভাগের পানি ধারণের ক্ষমতা আর পানির প্রবাহ।
নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে জয়পুরহাটের ছোট যমুনা, তুলসী গঙ্গা, হারাবতি ও চিড়ি নদীর পুনঃখননের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হয় এ চারটি নদীর খনন কাজ।

স্থানীরা জানান, খননের ফলে এসব নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এসেছে। রক্ষা পেয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার একর ফসলী জমি। পুনঃখননের সুফল পাচ্ছেন। খননের ফলে নদীগুলোতে পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজননও বেড়েছে। তাই সারা বছরই এ নদীগুলোতে মাছ আহরণ করেত পারছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে ছোট যমুনা নদী এলাকার কৃষি ও মৎস্য আহরণে জীবিকা নির্বাহকারী মো. আমজাদ, তুলসীগঙ্গা নদীর মো. আরাফাত, হারাবতি নদীর বাবু অশ্বিনী কুমার, চিড়ি নদীর দিলীপ সিং বলেন, নদীগুলোর নাব্যতা ফিরে আসায় আমাদের জীবনধারণে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। আমরা খুব খুশি।

এই খননের ফলে জীব বৈচিত্র্যের উন্নতি ও বন্যা ঝুঁকিও কমেছে বলে জানাচ্ছেন জয়পুরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, জেলার এই চারটি নদীর খনন ও বাঁধ নির্মাণে সরকারের ব্যায় হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। নদীগুলো খননের ফলে নদী যেমন ফিরে পেয়েছে নাব্যতা, তেমনি বহুমুখী উপকার পাচ্ছে মানুষ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ