জাল টাকা ও ডাকাত আটকের পর সান্তাহারের সর্বমহলে প্রশংসিত এসআই বকুল

আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ৬:১৫ অপরাহ্ণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:


বগুড়ার আদমদীঘি থানার সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের দুই মাসের মাথায় জনগণের প্রত্যাশা প্রায় শতভাগ পূরণ করেছেন এস আই বকুল হোসেন। মাদক, চোর-ডাকাত, সন্ত্রাস এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত সান্তাহার পৌর শহরে। ইতোমধ্যে জাল টাকা ও ডাকাত আটকের পর কর্মদক্ষ সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এস আই বকুল হোসেন প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।

গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সান্তাহর পুলিশ ফাঁড়িতে উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করে এস আই বকুল হোসেন। যোগদানের পর থেকেই তার ঝুঁলিতে একের পর এক সাফল্য যুক্ত হতে থাকে। মাদক, সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাত গ্রেফতারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন মামলার রহস্য উৎঘাটন ও তদন্তের পাশাপাশি মামলার আসামীদের গ্রেফতার করেছেন।

এছাড়া হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৮ থেকে ১০ টি মোবাইলফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে পৌছে দিয়েছেন এস আই বকুল হোসেন। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়া চক্রের এক সদস্যকে ৭২ হাজার জাল টাকা সহ আটকের পাশাপাশি গত (৩ এপ্রিল) রাতে সান্তাহার পৌর শহর থেকে অস্ত্রসহ সাতজন ডাকাতকে আটকের পর সর্বমহলেই আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দুতে তিনি।

সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এস আই বকুল হোসেন বলেন, আমি সান্তাহারে যোগদানের পর থেকেই অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (আদমদীর্ঘি সার্কেল) নাজরান রউফ স্যার ও আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী এবং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমাস আলী সরকার স্যারের পরামর্শে তাদের সার্বিক দিক নির্দেশনাগুলো যথাযথ মেনে চলার চেষ্টা করি।

অপরাধ দমনের জন্য সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় আমরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। এতে করে অপরাধমূলক কাজ কমে গেছে। সেবা প্রার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সহকর্মীদের আমি সব সময় সহযোগিতা করেতে চেস্টা করি। তাদের কাজের সফল্য দেখে ভালো লাগে। যারা অপরাধ করবে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। পুলিশেও এখন ভালো কাজ করার প্রতি-যোগিতা বেড়েছে। এটা একদিকে যেমন দেশ ও জনগণের কল্যাণ তেমনি পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ভালো-বাসা বেড়ে যাবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ