তীব্র তাপপ্রবাহ নতুন করে রেকর্ড গড়ছে II মানুষসহ প্রাণিকূলের হাঁসফাঁস অবস্থা

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই নামছে না। কেবলই ওপরে উঠছে। কয়েক দিন আগে মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে শুরু হয়েছিল চলতি মৌসুমে গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর তীব্র তাপপ্রবাহে বর্তমানে মানুষসহ প্রাণিকুলের যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। চলতি এপ্রিলে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে টানা ২৭ দিন ধরে চলছে দাবদাহ।

আর এরই মধ্যে রাজশাহীতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি এপ্রিল মাসে টানা ২৭ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে। যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে ১৯৮১ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহের উপাত্ত আছে। সেটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৭ দিন তাপপ্রবাহ হলো।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চলতি মৌসুমে গত ১৭ এপ্রিল হতে রাজশাহীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা বা তীব্র তাপ-প্রবাহ চলছে। দীর্ঘ প্রায় ২ সপ্তাহ হতে তীব্র দাবদাহে মানুষসহ প্রাণিকুলে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে।
তীব্র রোদ ও তাপ-প্রবাহের জন্য বেশ কিছু-দিন থেকেই দুপুরের দিকে প্রধান-প্রধান সড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে। অনেক মানুষকে ক্লান্ত শরীরে গাছের নিচে ছায়ায় বসে থাকতে দেখা গেছে। অনেককে নিজের চোখে-মুখে ঠাণ্ডা পানি দিতে দেখা যায়। তবে রিকশাচালকদের তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই রিকশা চালাতে দেখা গেছে। এছাড়া তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটেখাওয়া অন্য পেশার মানুষেরাও।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনটায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ছয়টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়া অফিস কোনো সুখবর দিতে পারেনি। আগামী মাসের শুরুতে হয়তো বৃষ্টির দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ