পাবনা পাউবো’র দুই প্রকৌশলীকে কারাগারে প্রেরণ

আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে আটক পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দুই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটক দুইজন হলেন, মাসুদ রানা (২৯) ও মোশাররফ হোসেন (৪২)।

এদের মধ্যে মাসুদ রানার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের বড় দিকশাইল গ্রামে। তিনি ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। আর অপরজন মোশারফ হোসেনের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানার শিবনগর এলাকায়। তিনি একই কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাদের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। ওই সময় ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সদর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির আইনের ৫৪ ধারায় একটি জিডি দায়ের করা হয়। জিডি নাম্বার ১৯১৮। এরপর ৫৪ ধারায় আটক দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মোরশেদুল আলম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি রওশন আলী আরো জানান, ঘটনাটি দুদকের সিডিউল ভিত্তিক অপরাধ হওয়ায় তারা মামলা দায়ের করবে। সে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসাথে ঘটনাটি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অনুসন্ধানের কাজে যান কয়েকজন সাংবাদিক।

সেখানে প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে দুই ঠিকাদারসহ আরেক প্রকৌশলীকে দেখতে পান তারা। এ সময় টেবিলে বিপুল পরিমাণ টাকার বান্ডিল ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশকে জানান ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দুই ঠিকাদার রাজিব ও কনক। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে খবর দেয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুদক ও পুলিশ। সন্ধ্যার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার গ্রামের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার বড় দিকশাইল গ্রামে গিয়ে তার সর্ম্পকে নেতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি। সবাই তাকে সৎ ও ভাল মানুষ হিসেবে জানেন।

দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন, মাসুদ ছেলেটা ছোটবেলা থেকে খুবই ভাল ছেলে। গ্রামের সবাই জানে। সে এমন কাজ করতে পারেনা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে হবে।

মাসুদ রানার বাবা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, তাকে যে আদর্শ দিয়ে মানুষ করেছি তাতে সে ঘুষ নিতে পারে না। এটা অবশ্যই একটা সাজানো ষড়যন্ত্র। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। কারা, কি কারণে এটা করেছে সেটা খুঁজে বের করার দাবি করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ