প্রচণ্ড তাপদাহে ট্রেনের গতি ধীরে II রেললাইনে পানি ঢেলে ঠান্ডা II সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন, আতঙ্কে ১০ যাত্রী আহত বেঁচে গেছে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


প্রচণ্ড তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কায় পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলছে ধীরগতিতে। তাতে কোনো ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক থাকছে না। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, কাঠের স্লিপার থাকা রেললাইনেই ভয় বেশি। তাই ট্রেন চালাতে হচ্ছে ধীর গতিতে। তবে স্টিল কিংবা কংক্রিট স্লিপারের রেললাইনে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে এখনো সমস্যা দেখা দেয়নি।

ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেললাইনের পাত বেঁকে গিয়ে বড় অঘটন থেকে বেঁচে গেছে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। ঈশ্বরদী বাইপাসে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারিরা রেললাইন বেঁকে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে রেলের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে ট্রেনটি থ্রো পাস করান।

এদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় রাজশাহী গামী সিল্কসিটি-এক্সপ্রেস ট্রেনে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ-পথে উপজেলার মহেড়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ট্রেনটি স্টেশন এলাকায় থাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার খবরে আতঙ্কে যাত্রীদের কেউ কেউ দরজা-জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে ২ হাজার ২৮৬ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা-চিলাহাটি-পঞ্চগড় ও রাজবাড়ী-ঢাকা রুটের রেললাইনে কংক্রিট স্লিপার আছে। আর ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে আছে স্টিলের স্লিপার। বাকি পথে আছে প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো কাঠের স্লিপার। এর সঙ্গে মাঝেমধ্যে কংক্রিটের স্লিপারও বসানো হয়েছে। তবে কাঠের স্লিপারই বেশি। এই কাঠের স্লিপারের কারণে দুর্বল ট্র্যাকে ট্রেনে গতি আনা যাচ্ছে না। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে এসব রেললাইনই বেশি বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানান, অনেক দিনের পুরোনো কাঠের স্লিপার রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে পড়েছে। এসব স্লিপার আর ঠিকমতো রেললাইন ধরে রাখতে পারে না। নাট-বল্টু ও ক্লিপ খুলে যায়। এখন তাপপ্রবাহে এসব রেললাইন বাঁকাঁ হয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণত বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে রেললাইনে তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি হয়েছে। তাই দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি-সেলসিয়াস হলে রেললাইনে তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছা-কাছি হয়েছে। কংক্রিট এবং স্টিলের স্লিপারের রেললাইনে এই তাপমাত্রাতেও ট্রেন ঠিক-মতো চালানো যায়। কিন্তু কাঠের স্লিপার থাকলে কমিয়ে দিতে হয়-গতি।

রাজশাহী-ঢাকা রেলপথের পুরোটাই কাঠের স্লিপার। তাপপ্রবাহের মাঝে এই রুটে এখন ট্রেন চলছে খুবই সতর্কতার সঙ্গে। গতি কমিয়ে দেওয়ার কারণে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে প্রতিটি ট্রেন। কাঠের স্লিপারের কারণে এই রুটে মাঝেমধ্যে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনাও ঘটছে। সম্প্রতি রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় এ ধরনের একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাঘার আড়ানী এলাকায় জানা গেছে, অনেক কাঠের স্লিপারই পচে গেছে। পর্যাপ্ত পাথর না থাকায় ওই স্লিপার নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া নাট-বল্টু ও ক্লিপ নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। অনেক দিনের পুরোনো এই স্লিপার বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। রাজশাহীর হরিয়ান এলাকায় গিয়েও রেললাইনে স্লিপারের একই অবস্থা দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, অনেক দিন ধরেই এসব এলাকায় রেললাইনে বড় কোনো সংস্কার দেখা যায় না। নাট-বল্টু খুলে গেলে কিংবা ট্রেন লাইনচ্যুত হলে তখন সংস্কার করা হয়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, ‘১৯৭৩ সালে রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। একটি রেললাইনের আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ থেকে ২৫ বছর। কিন্তু এই স্লিপার ও রেললাইনের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। ফলে ট্রেন চালাতে স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক থাকতে হচ্ছে। কারণ, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে কাঠের স্লিপারের লাইনেরই বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।’ তাই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে দাবি তার।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রচণ্ড তাপে ঈশ্বরদী-বাইপাস রেললাইনের একটি স্থান বেঁকে যায়। তাই দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই চার কিলোমিটার রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ঝুঁকি থাকায় এই লাইনে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দর্শনা-যশোর রেলরুটে লাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কায় ট্রেনের গতি ৬০ কিলোমিটারে নামিয়ে চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এখনো এই রুটটিতে সতর্কতার সাথে ট্রেন চালানো যাচ্ছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহসান জাবির বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গরম বা শীতে লাইন বেঁকে বা ফেটে যায়। এমন লাইনগুলোতে রেলের গতি কমিয়ে আনা হয়। শীত বা গরমের কারণে লাইনে স্ট্রেচিং ও ডিস্ট্রেচিরেঙর ফলে ‘রেল ব্রোকেন’ ও ‘বাকলিং’ (লাইন বেঁকে যাওয়া) হয়ে থাকে। এই অবস্থায় রেল কীভাবে চলবে তার একটি গাইডলাইন আছে। সে অনুযায়ীই এখন ট্রেন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইনের পাত বেঁকে গিয়ে বড় অঘটন থেকে বেঁচে গেছে খুলনা থেকে রাজশাহী গামী আন্তনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। বেঁকে যাওয়া রেল লাইনে থাকা খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে ঈশ্বরদী লোকোসেডের রেললাইন দিয়ে পেছনে টেনে নেওয়ার পর অপর একটি লাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রায় ১ ঘন্টা পরে ছেড়ে যায়। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুই ঘণ্টা রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর বেঁকে যাওয়া রেলপথ স্বাভাবিক করেন।

রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত স্থানীয় শ্রমিক শুভ হোসেনসহ অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারিরা জানান, কপোতাক্ষ ট্রেন ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের নিকটে যে লাইনে ট্রেনটি আসছিল সেই রেললাইন দুর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল। খবর পেয়ে বিভাগীয় রেলের পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারি প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রেনকে পেছনে এনে অন্য রেললাইন দিয়ে কপোতাক্ষ ট্রেন থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান প্রচণ্ড রোদে দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে।

এসময় ওই লাইনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী যাচ্ছিল। ট্রেনটি থামিয়ে অপর একটি লাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন রেল লাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর রেলপথ স্বাভাবিক হয়।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, খবর শুনে তাৎক্ষনিকভাবে বিভাগীয় উর্ধতন সহকারী প্রকৌশলী বাকিয়া তুল্লাহ্সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনটি লাইন থেকে পেছনে এনে অন্য লাইন দিয়ে রাজশাহীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ্ সুফি নূর মোহাম্মদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ট্রেনটি স্টেশন এলাকায় থাকায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার খবরে আতঙ্কে যাত্রীদের কেউ কেউ দরজা-জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মহেড়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টার সময় ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে যায়ার সুযোগ করে দিতে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহেড়া স্টেশনে থামানো হয়েছে। এ সময় প্রচণ্ড গরমে ‘ট’ বগি হতে কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমে বগির পেছনে হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন দেখতে পান। তারা দ্রুত বিষয়টি রেলস্টেশনের মাস্টারকে অবগত করেন। পরে রেলস্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ট্রেনের নিরাপত্তাকর্মীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে ট্রেনে আগুন লাগার খবরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভয়ে যাত্রীদের কেউ কেউ বগির জানালা-দরজা দিয়ে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করেন। জানালা দিয়ে নামার সময় অনেকের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে যায়।

মহেড়া গ্রামের বাসিন্দা সাগর মিয়া বলেন, আগুন লাগার খবরে তারা রেলস্টেশনে ছুড়ে যান। তখন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। তাদের অনেকে ছোটাছুটি করছিলেন।
মহেড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সোহেল খান বলেন, ক্রসিংয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে থামানো হয়েছিল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনাটি স্টেশন এলাকায় হওয়ায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার খবরে যাত্রীদের কয়েকজন ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার কারণে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চার-পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণে মির্জাপুর রেলস্টেশনে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন কিছুক্ষণ থেমে ছিল। পরে মির্জাপুর থেকে দেরিতে ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে রেললাইনের তাপমাত্রা সব সময় সাত থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি হয়। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে কাঠের স্লিপার এলাকার রেললাইন বাঁকাঁ হয়ে যাবর ঝুঁকিতে আছে। তবে এখনো বড় ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি। ঈশ্বরদীতে আগে থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিলো। তাই সেখানে রেললাইন বাঁকাঁ হয়ে যায়। পরে মেরামত করা হয়েছে।

অসীম কুমার তালুকদার আরো বলেন, কংক্রিট স্লিপার অনেক বেশি লোড-নিতে পারে। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হলেও লাইন বাঁকেঁ যায় না। কাঠের স্লিপারে তা সম্ভবনা। কিন্তু স্লিপার স্বল্পতার করণে মেইন-লাইনে কাঠের ও স্টিলের স্লিপার বসাতে বাধ্য হই। এখন আমাদের চেষ্টা আছে যেন পরিবর্তনের সময় কংক্রিটের স্লিপারই বসানো যায়। কাজটা একবারে করতে পারলে ভালো। তাহলে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা কমে আসবে। ট্রেনও গতিতে চালানো যাবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ