মোহনপুরে ২৫ ফুট নিচে ভূগর্ভস্থ পানি, সেচকাজ ব্যাহত হওয়ার আশষ্কা!

আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ণ


মোস্তফা কামাল, কেশরহাট:


রাজশাহীর কৃষি অধ্যুষিত একটি উপজেলা মোহনপুর। ছোট আয়তনের এ উপজেলার সবখানেই ধান, পানসহ রকমারি ফসলের সমাহার। সম্প্রতি সারা দেশের মতো এখানেও বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র তাপদাহ। যার কারণে সব ধরসের ফসলে চলছে অতিরিক্ত সেচকাজ। এরই মাঝে এখানকার ভূ-স্তরের পানি ২০ ফুটট থোকে ২৫ ফুট নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন মোহনপুর সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ের তথ্যমতে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলায় ৩২২টি গভীর নলকূপ সেচকাজে ব্যবহৃত হয়। কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ৩২১টি সচল রয়েছে। দীঘাডাঙ্গা মৌজায় পানি সংকটের কারণে ১টি গভীর নলকূপের সংষ্কার অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও অনেক ফসলে স্যালো মেশিনের সাহায্যে উপরি ভাগের পানির মাধ্যমে সেচ দেয়া হয়। তীব্র খরায় পানি শুকিয়ে গেছে। এজন্য বোরো ধানের শেষ মুহূর্তের সেচ দিতে বৃষ্টিই কৃষকের শেষ ভরসা। অন্যদিকে খাবার পানির জন্য স্থাপনকৃত অনেক অ-গভীর নূলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানা গেছে। এজন্য সেচ কাজে বৃষ্টির পানিই কৃষকের একমাত্র ভরসা।

মোহনপুর উপজেলার মগরা বিলের দীঘাদাঙ্গা গভীর নলকূপের কৃষক আকবর আলী বলেন, আমাদের এ গভীর নলকূপে একমাস ধরে পানি উঠেনি। এজন্য পুনরায় গভীর নলকূপটি তুলে স্থাপন করা হচ্ছে। টানা একমাস ধরে সেচ দিতে না পারার কারণে বিনষ্টের পথে উঠতি বোরা ধান। আমরা ধান ঘরে তুলতে পারবো না বলে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছি গ্রামের হারুন রশিদ জানান, আমাদের বাড়ির নলকূপে পানি ঊঠছে না এজন্য দূর থেকে অন্যের নলকূপের পানি ব্যবহার করছি।

মোহনপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন প্রকল্প বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসানুল ইসলাম জানান, তীব্র খরার কারণে মোহনপুর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে পানিস্তর ২০ ফুট থেকে ২৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শেষ মুহূর্তের সেচকাজ ব্যাহত হওয়ার আশষ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ