রমজানে স্কুল বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

সোনার দেশ ডেস্ক :রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার (১১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এদিকে রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এতে করে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

এ-সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে সেদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। এ বিষয়ে রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন ও হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুইমাসের জন্য স্থগিত করেছে ও একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা শুরু হবে। অন্যদিকে, আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।

এর পরে বিষয়টি নিয়ে একজন অবিভাবক রিট আবেদন করেন ওই রিটের শুনানি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এদিকে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অপর একজন আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মন্ডল। কিন্তু ওই রিটের শুনানি এখনো হয়নি বলে জানান আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল নিজে।- জাগোনিউজ