নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান

আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ১:১৫ অপরাহ্ণ

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কল্যাণ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, আরএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মো. জামিরুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী মো. ওমর ফারুক, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল খাঁন, রাজশাহী বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান, সিনিয়র বিপনন কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আফরিন হোসেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী, টিসিবি রাজশাহীর অফিস প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ বাগমারা থানা আমিনুল ইসলাম, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, নগরীর হড়গ্রাম নিউ মার্কেট সভাপতি মো. ফিরোজ আখতার ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন।

সভার স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় বাজার দর উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ১২ অক্টোবর স্থানীয় বাজারে খুচরা চাল কেজিপ্রতি ৬৬-৭০ টাকা, মাঝারি ৫৪-৫৮ টাকা, চিকন ৫৬-৬০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা, মসুরের ডাল দেশী ১০০-১০৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০-১৫২ টাকা, পেঁয়াজ দেশী ৯০-৯৫টাকা, পেঁয়াজ আমদানীকৃত ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা, বেগুন ৮০-৯০ টাকা, মুরগীর দেশী ডিম প্রতি হালি ৫৮-৬০ টাকা, সাদা ডিম ৪৪-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়া ছাড়াও আড়তদারেরা পণ্য মজুদ করছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে বলে। এক্ষেত্রে কেউ পণ্য মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সভায় আরো উল্লেখ করেন, নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যায় সেদিকটির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ পরছে। অন্যদিকে, বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির দায় নিতে নারাজ খুচরা বিক্রেতারা । তারা বলছেন, আড়তদারেরা পণ্য মজুদ করছে বলেই দাম বাড়ছে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল খান বলেন, বাজার মূল্য স্থিতিশীল সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে সাথে পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে কেন? বাজার মনিটরিং খুবই দুর্বল। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হবে।

সিনিয়র বিপনন কৃষি কর্মকর্তা আফরিন হোসেন বলেছেন, বৃষ্টি জনিত সমস্যার কারণে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মহানগরীর বড় বাজারসহ অন্যান্য বাজারে বেশ কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। চিকন চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চাল স্থিতিশীল রয়েছে।

এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রস্তাব দেন।
রাজশাহী বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ের প্রস্তাব রাখেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ