রামেক হাসপাতাল অডিটরদের খুশি করতে চাঁদা তোলার ঘটনা তদন্তে কমিটি

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


অডিটরদের খুশি করতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মদ।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা তদন্ত করে তার কাছে প্রতিবেদন দেবে। তদন্তে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এই কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত রোববার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অডিট অধিদফতরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালটিতে নিরীক্ষায় আসেন। কাজ শেষে মঙ্গলবার তারা ফিরে যান। এই অডিটরদের খুশি করার নামে হাসপাতালের ৫৭টি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে মাথা পিছু ১ হাজার ২০০ টাকা করে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোয় নার্সিং কর্মকর্তারা ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

হাসপাতালের কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ জানিয়েছেন, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। এই টাকা আসলেই অডিটরদের দেওয়া হয়েছে, নাকি ওই তিন কর্মকর্তা নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন তা তারা জানেন না।

নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোন করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অডিটররা কিছু চাচ্ছে।’ তবে হাসপাতালটিতে অডিট করতে আসা স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা কোন টাকা-পয়সা নিইনি।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ