হঠাৎ ওষুদের বাজারে নৈরাজ্য!

আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

ওষুধ প্রশাসন কখন ব্যবস্থা নিবে?

রাজশাহীর বাজারে সব ওষুধের দাম বেড়েছে। কিন্তু এই ওষুধের দাম বাড়ালো কোন কর্তৃপক্ষ? এখন পর্যন্ত সরকার বা কোনো কম্পানি দাম বাড়িয়েছে এমন কোনো তথ্য জানা নেই। তবু দাম বেড়েছে, স্বার্থান্বেষীরা সিন্ডিকেশন করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারকে অস্থিতিশীল করাও এর উদ্দেশ্য হতে পারে। কিন্তু এর সাথে যে দরিদ্র রোগিদের সম্পর্কে আছেÑযারা হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণে অস্বস্তি-অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছেন, সে বিষয়টি এই মুহূর্তে খুবই বিবেচ্য।

দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে- করোনার পর থেকে বেশ কয়েকবার বেড়েছে ওষুধের দাম। গত দুই বছরে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ওষুধের দাম বাড়ানো হয় ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ। কয়েকদিন থেকে আবারো বিনা নোটিশে ওষুধের দাম বাড়িয়েং দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর বাজারে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় প্রতিটি ওষুধের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত নাপা, সেকলো, অমিডন, মন্টিয়ার-মোনাস, এমকাস, রিভার্সএয়ারের মতো ওষুধগুলোর দাম বেড়েছে কারণ ছাড়াই। কিন্তু কারা কোন প্রক্রিয়ায় এই দাম বৃদ্ধি করলো তারি হদিস মিলছে না। ফার্মেসি মালিকদের মতে, ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি কম্পানিগুলো। তবে তারা দাম বেশি রাখতে বলেছে এবং ক্রেতাদেরও অবগত করতে বলছে। খুবই হাস্যকর একটি বিষয়। কম্পানি দাম বাড়াবে সে ক্ষেত্রে এ ধরনের লুকোচুরি খেলতে হবে কেন? ওষুধ প্রশাসনের সাথে বসে নোটিশ দিয়েই তো দাম বাড়ানো যায়! এ ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হবে কেন? নিশ্চয় অভিসন্ধি মোটেও ভাল নয়।

রাজশাহীর ওষুধ প্রশাসন বলছে, এখন ওষুধের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি দাম বেশি রাখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইচ্ছা করে কেউ দাম বাড়ায় তার বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো। তা হলে বিলম্ব কেন? বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হোক।