আখ চাষে বিমুখ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে কাজ করছে : বিএসআরআই’র মহাপরিচালক

আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ৯:০০ অপরাহ্ণ


নাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি:


নাটোরের লালপুরে ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনক ভাবে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক’ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) ঈশ্বরদীর উদ্দ্যোগে কৃষকদের সাথে আলোচনা সভা ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দুরদূড়িয়া এলাকার মোনিহারপুর গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএসআরআই এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবু তাহের সোহেল এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. ওমর আলী।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খবির উদ্দিন মোল্লা, উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমেদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, কৃষক প্রতিনিধি আজগর আলী প্রমূখ।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাসেদুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এলমুর রেজা,আবু সাইদ, রবিউল ইসলামসহ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভাটি এর পরিচালনা করেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক মোখলেছুর রহমান। এতে ৭০ জন কৃষক -কৃষাণী কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আখ বিক্রির জন্য সময়মতো পুঁজি না পাওয়া, পোকার আক্রমণে আখ নষ্ট হলেও কীটনাশক না পাওয়া, আখ চাষে অন্যন্য ফসলের চেয়ে সময় বেশি লাগা, বিক্রির পর সময়ের টাকা অসময়ে পাওয়া, দাম কমের কারণে লাভ কম- এসব কারণে দিন দিন আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। এজন্য আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আখ চাষে বিমুখ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে কাজ করছে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে এখন লাভের মুখ দেখছেন আখ চাষিরা। নাটোর নর্থবেঙ্গল চিনিকল এলাকায় ৪০ জন কৃষককে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী জানান, আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবার কৃষক প্রতি ৩০-৪০হাজার টাকা সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ সুবিধার জন্য দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে কৃষক আজগর আলী বলেন, নিজের জমিতে প্রথম সাথী ফসল হিসেবে আলু, পিয়াঁজ, রসুন, সরিষা, টমেটো, এবং ২য় সাথী ফসল হিসেবে ডাল জাতীয় ফসল পাওয়ায় লালপুর অঞ্চললের কৃষক একদিকে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে তারা অনেক লাভবান হচ্ছে।

কৃষক কটাআলী বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ১ম রসুন, গুটি পেঁয়াজ, আলু চাষে ভালো ফলাফল পাওয়ায় ২য় সাথী ফসল হিসেবে মুগ ডাল বপন করা হয়েছে। এবার সাথীফসল হিসেবে পেঁয়াজ ৫ মণ ২৭ কেজি, রসুন ৪ মণ ৩১ কেজি, পাকরী আলু ২৭ মণ পেয়েছেন বলে জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ