ঈশ্বরদীতে নিহত গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :


পাবনার ঈশ্বরদীতে নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া মন্ডল (১৮) হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত সুমাইয়া শহরের কাচারিপাড়ায় এলাকার রিকশাচালক আরমান মণ্ডলের মেয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) শহরের পূর্বটেংরি এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি সুমাইয়া মণ্ডলের গলা ও হাতের আঙ্গুলে মারধরের একাধিক চিহ্ন ছিল। ঘটনার রাতেই তারা থানায় অভিযোগ দেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সুমাইয়ার বাবা আরমান মণ্ডল বলেন, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর পূর্বটেংরি কদমতলা এলাকার মৃত দৌলত খানের ছেলে তালাত মাহমুদের সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। সম্মতি না থাকলেও ৬ মাস পর বিয়ে মেনে নেয়া হয়।

এক বছর পর জানা যায়, তালাত মাহমুদের আরো এক স্ত্রী ছিল। সেই স্ত্রীও আত্মহত্যা করে। এটি জানাজানি হলে তালাত মাহমুদ সুমাইয়ার নিকট যৌতুক চেয়ে নির্যাতন ও মারধর শুরু করে। তিনি জানান, ৫ রমজানের দিনে সুমাইয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

পরে আলোচনা করে তালাত মাহমুদ সুমাইয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এর দুদিন পরে তালাত হঠাৎ ফোন করে তাকে জানায় সুমাইয়া গলায় ফাঁস নিয়েছে। খবর পেয়ে পূর্বটেংরি কদমতলায় গিয়ে দেখা যায়, তালাতের শয়নকক্ষে সুমাইয়া অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার গলায় ও হাতের আঙ্গুলে আঘাতের একাধিক চিহ্ন দেখা যায়।

এ অবস্থায় দ্রুত তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরমান মণ্ডল অভিযোগ করেন, যৌতুকের কারণে তালাত মাহমুদ এবং পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়াকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তিনি এই ঘটনায় জড়িত তালাত মাহমুদকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version