এক দিনে এল বিজিপির আরও ১৭৯ সদস্য

আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে এক দিনে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিজিপির আরও ১৭৯ সদস্য।
সোমবার দুপুর ১২ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের জামছড়ির ৪৫-৪৬ নং পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ২৯ সদস্য পালিয়ে আসে।
পরে রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে এসেছেন আরও ১৫০ জন।

ফলে একদিনে মোট ১৭৯ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
বান্দরবান জেলা-প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ-উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনু-প্রবেশকারী সবার অস্ত্র জমাদানের পর বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিজিপির অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে।

এরআগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্য পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩শো৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়।
তাদের মধ্য মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩শো২ জন, তাদের পরিবারের ৪ সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্তের ওপার হতে আসা গুলিতে এক ইউপি সদস্য আহতের খবর পায়া গেছে।
আহত ইউপি-সদস্যের নাম সাবের আহমদ। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার-ইমন সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার বিকাল ৪ টায় সীমান্ত এলাকা জামছড়ি মসজিদের পাশে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করছিলেন সাবের আহমদ। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে আসা ১টা গুলি তার কোমড়ে এসে লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়া হয়েছে।”
তবে ব্যাপারে বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পায়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ