জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন রায় দেন বলে জানান জয়পুরহাট জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট পৌর শহরের দেওয়ানপাড়ার মৃত ইউনিুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, শান্তি নগর গ্রামের শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার হোসেন সুমন, আরাফাত নগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, দক্ষিন দেওয়ানপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলেমনোয়ার হোসেন মনছুর, তেঘর বিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেওয়ান পাড়ার আজিজ মাষ্টারের ছেলে রানা, দেবীপুর কাজীপাড়া গ্রামের মৃত মবকবুল হোসেনরে ছেলে শাহী, দক্ষিন দেওয়ানপাড়া গ্রামের ওয়রেছ আলীর ছেলে টুটুল, দেবীপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের রফিকের ছেলে সুজন, দেবীপুর কাজীপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে রহিম ও নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবর স্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মোয়াজ্জেম মারা যায়। এ নিহতের পিতা বাদী হয়ে পরের দিন জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।