নগরীতে নানা আয়োজনে ভাইফোঁটা উৎসব পালিত

আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ৮:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতবিদেক:


“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁট।”Ñএমন বিশ্বাসে নগরীতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) পালিত হয় হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম উৎসব ভাইফোঁটা।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

বাঙ্গালী হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, বাংলা বছরের কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে ) পালিত হয় এই ভাইফোঁটা উৎসব প্রতিটি পরিবারের বোনরা এই উৎসবকে ঘীরে তাদের বাবার বাড়িতে আসেন এবং ভাইরা উপস্থিত হোন বোনের আশির্বাদ নিতে। এ শুভ দিনে বোনরা উপোস থেকে ললাটে তিলক কেটে ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় পূজা করেন।

ভাই ছোট হলে ধান-দুর্বা দিয়ে বড় বোন আশীর্বাদ করে, দীর্ঘায়ু কামনা করে। আর বড় ভাই হলে প্রণাম করে ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করে বোন।

এই দিনটি ভাই বোনের মিলনের দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে বহু কাল ধরে। সব বোনরা নিজের ভাইয়ের সু-স্বাস্থ্য, অমরত্ব, দীর্ঘায়ু কামনা করে এই দিনটিতে। বর্তমানে সব সংসার খুব ছোট, কোনও পরিবারে ভাই আছে কিন্তু বোন নেই, আবার কোথাও উল্টোটা দেখা যায়, সেই ক্ষেত্রে ভাই-বোন পাতিয়ে এই উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে। এই সম্পর্কই যে অটুট বন্ধন হিসাবে থাকে সেই কামনা করা হয়।

নগরীর ঈশ্বরী বলেন, বাড়ির ছোট মেয়ে হওয়ায় প্রতিবছর বড়-ছোট ভাইয়ের সু-স্বাস্থ্য, অমরত্ব, দীর্ঘায়ু কামনা করে ধান-দূর্বা দিয়ে ছোট ভাইদের আশীর্বাদ করতে হয়। তনিি আরও বলনে ভাইফোঁটা উৎসবে আনন্দে ভরে ওঠে বাঙালির ঘরদুয়ারে। থালায় সাজানো নানারকম খাবার। তারপর উপহার দেওয়া নেওয়া। সাক্ষী হয়ে থাকে প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের অনির্বাণ শিখা এবং পরিবারের মানুষজন। এই দিনটিতে ঘরে-বাইরে ছড়িয়ে থাকে ভাইদের জন্য বোনেদের আর বোনেদের জন্য ভাইদের শুভকামনা এবং মঙ্গল আকাঙ্ক্ষা।

এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ