নাটোরের সবচেয়ে বড় গরু বিসুকে বিক্রি করতে চায় তার মালিক

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪, ২:০৪ অপরাহ্ণ

নাটোরের সবচেয়ে বড় গরু বিসুকে বিক্রি করতে চায় তার মালিক

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:


এবারের পবিত্র ইদুল ফিতরেই নাটোরের সবচেয়ে বড় গরু বিসু কে বিক্রি করে দিতে চান তার মালিক গোলাম মোস্তফা। বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বিসুর দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। লালপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দাবি, এটি নাটোরের সবচেয়ে বড় গরু। বিসুকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসাহী মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চকবাদকয়া গ্রামের ভ্যানচালক গোলাম মোস্তফার গোয়ালে বিশাল আকৃতির ষাড় বেধে রাখা আছে। যেটি দূর থেকে হাতি সদৃশ মনে হতে পারি। ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা কালো এই ষাঁড় গরুটি গোলাম মোস্তফার বাড়ির গাভি থেকে তিন বছর আগে জন্ম নেয়। মানুষের মতই তার নাম রাখেন বিসু। বিসু বলে ডাকলেই সাড়া দেয় এই গরুটি। এরপর থেকেই নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছেন বিসুকে।

গোলাম মোস্তফার পরিবারের সবার সাথে এই বিসুর রয়েছে দারুণ সখ্যতা। বিসুকে তার ছেলে স্বপন ও সোনালি খাতুন আরেকটা ভাইয়ের মতই যত্ম করেন। প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা ফ্রিজিয়াম জাতের এই গরুটির পেছনে প্রতিদিন খরচ হয়। প্রচন্ড গরমে তাকে দিনে ৩-৪ বার গোসল করানো হয়। দূর থেকে মনে হয় একটি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। বিসুকে দেখতে আসা উৎসুক কেউ কেউ বলেন,,বিসুকে একটা সুড় লাগিয়ে দিলেই আস্ত হাতির মতো লাগবে। তবে গোলাম মোস্তফার ছেলে স্বপন জানায়,,বাহিরের লোক একদম অপছন্দ করেন বিসু।নতুন কাউকে বাড়িতে আসা দেখতে পারেনা।মুখ ভার করে থাকে।আমাদের ইচ্ছে ছিলো এই গরুটিকে আরো বড় করা।কিন্তু দরিদ্র ভ্যানচালক বাবার সামান্য উপার্জনের সব টাকা এই বিসুর পেছনে ব্যয় হয়।এছাড়াও এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এই গরুটি তাদের পরিবারের একমাত্র সম্বল। এজন্য এই রোজার ঈদেই তাকে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি।

ভ্যানচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, গত বছর ভালো দাম পেয়েও বিসুকে বিক্রি করিনি। টিভিতে অনেক বড় বড় গরু দেখতাম। সে থেকে আমার স্বপ্ন এই গরুটিকে অনেক বড় করবো। ইতিমধ্যে নাটোরের সেরা বড় গরুর তকমা পাচ্ছে আমার বিসু। কালো রংয়ের এই গরুটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা করছি।

বিসুকে দেখতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, বাড়ির পাশে অনেকেই গরু পালন করছেন। তাদের মুখ থেকে বিসুর কথা শুনে দেখতে এসেছেন। জীবনে এমন বড় গরু নিজ চোখে দেখেন নি। বিসুর খাবার ও যতœ নেওয়ার বিষয়ে জানছি। এমন গরু মোটাতাজা করণ করব।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. চন্দন কুমার বলেন, প্রতিটি বাড়িতে গরু মোটা তাজা করা হচ্ছে। আমরা সকল খামারিদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। গোলাম মোস্তফার এই গরুকেও সার্বক্ষনিক তদারকির পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ দিয়ে থাকি। গত বছর প্রাণিসম্পদ মেলায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিসু বাবু লালপুরের মধ্যে বড় গরু হিসেবে পুরষ্কার অর্জন করেন।আশা করছি বিক্রেতা ভালো দাম পাবেন।