পহেলা বৈশাখ থেকে ধানের নামেই চালের নাম

আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২৪, ১:৩১ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাত নিশ্চিত করতে রোববার, পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) হতে বস্তার ওপর আবশ্যিকভাব ছ’টি তথ্য লিখতে হবে।

বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা, উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পরিপত্র জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

রাইস মিল (অটোমেটিক ও হাঙ্কিং) হতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং ‘উৎপাদন ও সরবরাহ’ মূল্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়’র-সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে/অকস্মাৎ বেড়ে গেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দ মতো জাত’র ধান ও চাল কিনতে অ-সুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ছয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে।
ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, উৎপাদনের তারিখ, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, মিলগেট মূল্যের এ তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে।

২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না।

৩. চাল উৎপাদনকারী সব মিল মালিক (অটো/হাঙ্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সব প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে।

৪. করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট মূল্যের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

৫. এ পরিপত্রের আলোকে সব জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

৬. আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ) হতে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিক ভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ