বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নওগাঁর শিশুরা উপহার পেলো শেখ রাসেল শিশু পার্ক

আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪, ১:০১ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নওগাঁর শিশুরা উপহার পেলো শেখ রাসেল শিশু পার্ক

নওগাঁ প্রতিনিধি:


আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই আগামীতে একটি মেধাবী ও জ্ঞানী প্রজন্ম পেতে হলে আজকের শিশুকে মোবাইল কিংবা টিভি কার্টুনের গন্ডি থেকে বের করে একটি সুস্থ্য, সুন্দর ও বিনোদনমূলক পরিবেশে বড় করার কোন বিকল্প নেই।ঘরোয়া পড়ালেখার চাপে শিশুরা দিন দিন খেলাধুলা করার সুযোগ খোলা মাঠে হারিয়ে ফেলছে।

এই কারণেই শিশুদের নিয়ে একটি ছিমছাম, মনোরম ও খোলা বিনোদনমূলক পরিবেশে কিছুটা স্বস্তির সময় কাটানোর লক্ষ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার মধ্যে ভিন্নধর্মী ও নতুন ভাবে সাজানো শেখ রাসেল শিশু পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পার্কে স্থাপন করা আকর্ষনীয়, মননশীল ও আধুনিক রাইডসগুলোতে কাটানো কিছু সময় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনকে আধুনিকায়নসহ নতুন রূপ দিয়ে সুসজ্জিত করে একটি আকর্ষনীয়, মনোহর ও স্মার্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করায় বর্তমান জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে নওগাঁবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে নওগাঁর সচেতন মহল।

গত ১৭মার্চ হাজার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ও জাতীয় শিশু দিবসে পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আব্দুল করিম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. রফিকুল ইসলাম (রফিক), সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস, এম, রবিন শীষ প্রমুখ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস, এম, রবিন শীষ বলেন, সুস্থ্য একটি পরিবেশে শিশুদের বড় করার কথা আমরা ভুলে যাচ্ছি। দিন যতই যাচ্ছে ততই আমরা শিশুদের জোরপূর্বক জটিল পড়ালেখার পরিবেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। এতে করে শিশুরা সাময়িকভাবে প্রচন্ড মেধাবী হচ্ছে বলে মনে হলেও জীবনের শ্রেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গিয়ে তা আর ধরে রাখতে পারছে না সেই শিশুরা।

শিশুদের সঠিক ভাবে বেড়ে তুলতে দিনের কিছুটা সময় কাটানোর জন্য শিশুদের ভালোলাগে এমন উন্মুক্ত একটি নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ নেই। নওগাঁয় সরকারিভাবে শুধুমাত্র শিশুদের জন্য কোন পার্ক নেই। তাই আমি জেলা প্রশাসক স্যারের সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে সদর উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে আবাসিক শিশুসহ সকল শিশুদের জন্য পুরনো পার্কটিকে আধুনিকায়ন করে নতুন একটি শিশুবান্ধব পরিবেশের অবতারনা করেছি মাত্র।

তিনি আরো বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদি শিশুরা এই পার্কে আসলে কিছুটা সময় স্বাধীনভাবে তারা নতুন একটি ভালোলাগার অনুভূতির মধ্যে কাটাতে পারবে। এতে করে শিশুদের যেমন মানসিক বিকাশটা মেধাভিত্তিক হবে তেমনি ভাবে শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও সময় অনেক ভালো কাটবে।

এমন ভাবনা থেকেই মূলত শিশুদের জন্য সরকারি একটি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা আর সেই উদ্যোগটি জেলা প্রশাসক স্যার ও সদর উপজেলা পরিষদের সকলের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। শিশুদের জন্য এমন সুন্দর উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দিতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আশাবাদি এই পার্কটি নওগাঁর শিশুদের সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশ উপহার দিবে যা সঠিক পন্থায় শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে পাথেয় হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ