বাঘায় পদ্মার চরে বিশুদ্ধ পানির সংকট

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা:বাঘায় পদ্মার চরে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান চরে ৮৫টি পরিবার বসবাস করে। এই পরিবারের জন্য এডিপি খাতের এডিপি-পিআইসি প্যাকেজের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেড় মাস আগে একটি হ্যান্ড টিউবয়েল বসানো হয়। টিউবয়েলটি বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তাদের দাবি এখানে সরকারিভাবে সাবমার্সেবুল বা গভীর নলকূপ বসানো হলে পরিবারগুলোর বিশুদ্ধ পানির সংকট লাঘব হবে বলে তারা দাবি করেন। তবে অধিকাংশ বাড়িতে টিউবয়েল থাকলেও পানি উঠছে না। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে চরবাসী।

বাঘায় পদ্মার চরে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আম বাগান একটি চর। এই চরে ৮৫টি পরিবার বসবাস করে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেড় মাস থেকে তারা পানির সংকটে পড়েছে। এই চরে ৪০০ মিটার দক্ষিণে একটি টিউবয়েল রয়েছে। এই টিউবয়েলের পানি সংগ্রহ করে সকলেই প্রাণ করে। এছাড়া আরো ১৫টি চরের মানুষের একই অবস্থা। পদ্মার মধ্যে ১৫টি চরে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ বসবাস করে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের (কালিদাসখালী) মেম্বর শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার নির্বাচিত এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে টিউবয়েল থাকলেও পানি না উঠায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উপায় নেই,
এরমধ্যে কেউ কেউ পদ্মার পানি ব্যবহার করছে।

আমবাগান চরের আলিয়া বেগম বলেন, নিজের বাড়িতে একটি টিউবয়েল আছে। পানি উঠছে না। বাড়ির দক্ষিণে অনেকটুকু দূরে একটি টিউবয়ের থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে পান করি। কোনো উপায় নেই, এ টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছি। একি কথা জানান, চরের আক্তার জাহান, আরিফা বেগম ও আবেদা বেগম এবং সালেহা বেগম নামের কয়েকজন নারী।

চকরাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডিএম বাবলু মনোয়ার দেওয়ান বলেন, পদ্মার ধার দিয়ে প্রায় ৯০ ভাগ পরিবারের বাড়িতে টিউবয়েলে পানি উঠছে না। ফলে শত শত পরিবার বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে। কিছু কিছু পরিবার পদ্মার পানি পান করছে। আমবাগান চরে একটি সরকারিভাবে টিউবয়েল বসানো হয়েছিল। কিছুদিন পর সেটা অকেজো হয়ে গেছে। তবে সরকারিভাবে অতিশিগগিরই গভীর নলকূপের ব্যবস্থা না করলে পানির জন্য মহাসংকটে পড়বে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে সাবমার্সেবুল হোক আর গভীর নলকুপ হোক আগামীতে বরাদ্দ এলে ওই এলাকায় প্রথম দেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ