লোহিত সাগরে ভারতগামী জাহাজে মিসাইল হামলা হুথিদের

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক :


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবারো উত্তপ্ত লোহিত সাগর। ভারতগামী একটি তেলের ট্যাঙ্কারে মিসাইল ছুঁড়লো ইয়েমেনের হুথিরা। গত কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগরে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট হুথিরা। বিভিন্ন দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সশস্ত্র সংগঠনটি আক্রমণ শানাচ্ছে এডেন উপসাগরেও। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় বাণিজ্যতরীতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। যার হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, সমুদ্রের গভীর থেকেও হামলাকারীদের খুঁজে বের করবে ভারত। তার পর থেকে ভারতগামী জাহাজে আক্রমণ শানিয়েছে হুথিরা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সঙ্গে মিলে এবার ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে একজোট হতে পারে নয়াদিল্লি।

ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে সূত্রে খবর, শনিবার ভারতগামী তেলের ট্যাঙ্কারে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হুথিরা। এই আক্রমণে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এন্ড্রোমিডা স্টার নামের ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাঙ্কারটি সেশেলের মালিকাধীন। এদিন এই হামলার দায় স্বীকার করে হুথির মুখোপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া দাবি করেছে, পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ব্রিটেনের মালিকাধীন ছিল। কিন্তু অ্যামব্রের দেয়া জাহাজটির তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি সেটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লোহি

ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেনও। হামলা করা হচ্ছে জঙ্গি ডেরাতেও।
এই আবহে কয়েকদিন আগেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘লোহিত সা

আমি জি ৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। এই অঞ্চলের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের একজোট হতে হবে।’ গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার এক জাহাজ লক্ষ্য করে ড্রোন ছুড়েছিল হুথিরা। কিন্তু সেটি আছড়ে পরার আগেই মিত্রবাহিনী তা ধ্বংস করে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হামলা তীব্র করেছে হুথিরা। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটির পক্ষে জানানো হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় ইসরায়েলি সেনা হামলা বন্ধ করছে ততদিন এই আক্রমণ চলবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বেনজির হামলা চালায় ফিলিস্তিনিয় জঙ্গি সংগঠন হামাস।

যার বদলা নিতে গত সাত মাস ধরে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তেল আবিব। খুঁজে খুঁজে আক্রমণ করা হচ্ছে জেহাদিদের ডেরায়। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিকেশ হয়েছে হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। কিন্তু এই যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন গাজার নিরীহ মানুষরাও। ইতোমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ