সরকারি পুকুরের অর্ধ কোটি টাকার মাছ ধরে জনগণের তোপের মুখে এসি-ল্যান্ড

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সরকারি খাস পুকুরে জাল টানিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার পোনা মাছ জব্দ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন। পুকুর থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জণগণের তোপের মুখে পড়তে হয় এই কর্মকতাকে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পুকুরের অর্ধ কোটি টাকার মাছ সকালে আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামের ৯৪ শতকের বেলগাড়ী নামক পুকুর থেকে এ মাছ জব্দ করার সময় স্থানীয়রা এসি-লান্ডের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনগণ উপজেলার গো-হাটি ব্রিজের পাশে নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় মহাসড়কের দুই পাশের্^র যানবাহন চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে।

জানা যায়, উপজেলা জলমহাল কমিটি ডালম্বা পূর্বপাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বেলগাড়ী পুকুরটি অনুমোদন দিয়ে লিজ প্রদান করেন। লিজ মতে ২ বছর ১০ মাস ধরে ওই পুকুরে সমিতি মাছ চাষ করেও আসছে।

এ বিষয়ে আদমদীঘি ডালম্বা পূর্বপাড়া বেকার যুব সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, লিজের চার হাজার পাঁচশো টাকা বকেয়ার অজুহাত দেখিয়ে সমিতিকে কোনো নোটিশ না করে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন ফোর্সসহ আমাদের সমিতির এর নামে ডহরপুর বেলগাড়ী সরকারি খাস পুকুরে জাল টানিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার পোনা মাছ জব্দ করেছেন। বাংলা ১৪২৮ হতে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত খাস পুকুরটি বৈধ ভাবে লিজ নেয়া রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা রায়হানা জান্নাত বলেন, গত তিন বছরের এই পুকুরটির লিজের কোনো কাগজ আমরা পাইনি। সমিতির লোকেরা বলছে ওনারা ডিসিআর কেটেছে কিন্তু আমাদের এখনো ডিসিআর বের হয়নি। যার কারণে গত তিন বছর যাবত এই পুকুরটি কেউ লিজ নেয়নি।

অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেন বলেন, এই পুকুরটি কারো নামেই লিজ হয়নি। সরকারি এই পুকুরটি বিনা লিজে দীর্ঘ দিন যাবৎ পড়ে ছিল যার কারণে পুকুরের মাছ ধরে তা বিক্রি করে সরকারি কোষাগাড়ে জমা দেয়া হবে।

তবে পরবর্তীতে তাকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় পরবর্তীতে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযানের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনারের উপর জনগণ চড়াও হয়েছিল ও মহাসড়ক অবরোধের বিষয়ে
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ মুঠো ফোনে বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনারের উপর চড়াও করার বিষয়টি জেনেছি। তবে আার মুঠো ফোনে আর কোনো বক্তব্য দিতে তিনি রাজি হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ