সান্তাহারের ইদ বাজার : ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছে দোকানিরা

আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:ইদের কেনাকাটায় ভিড় জমেছে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতানে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা ও পছন্দ মত পোশাক কিনতে গিয়ে দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বিপণি বিতানগুলোতে রেডিমেট পোশাকের দাম যেন লাগামহীন।

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতান ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ইদকে সামনে রেখে বিভিন্ন দোকানে জমে উঠেছে বেচা বিক্রি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছে দোকানিরা। এমনকি পোশাকে মূল্য নির্দিষ্ট করে উল্লেখ না করায় একই পোশাক বিভিন্ন দামে কিনছে ক্রেতারা।

সান্তাহার শহরের স্টাইল জোন নামের এক দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের কোনো পোশাকের মূল্য লেখা না থাকায় একই পোশাক বিভিন্ন দামে বিক্রয় করছে তারা। এমনকি একই পোশাক অন্য দোকানের থেকে দুইগুনণ বেশি দাম নিচ্ছে এই বিপণি দোকানের বিক্রেতা।

স্টাইল জোন দোকানের নিয়মিত ক্রেতা সাগর খান বলেন, ইদ উপলক্ষে আমি গত দুই দিন আগে একটি লাল রঙের পাঞ্জাবি নিয়েছি এই দোকান থেকে। দোকানি পাঞ্জাবির দাম প্রথমে ৩৮শো টাকা চাইলেও পরে তা ৩৪শো টাকায় আমাকে দিয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর একটি দোকানে অনান্য কেনা কাটা করতে গিয়ে একই পাঞ্জাবি দেখি। কৌতুহল বসত পাঞ্জাবির দাম শুনলে দোকানদার দুই হাজার টাকা বলে। এর আগেও এই দোকান থেকে বিভিন্ন পোশাক ক্রয় করেছি তখনও দাম রেখেছে অনান্য দোকানের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।

রুকু সরদার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এই দোকানের কাপড়েরর মান একদমই ভালো নয়। আমি গত বছর এখান থেকে বেশ কিছু প্যান্ট কিনে ছিলাম দোকানি দাম রেখে ছিল ৩ হাজার টাকা করে। সেই প্যান্ট একবার ধোঁয়ার পরই সব রং ওঠে যায়। কিন্তু দোকানি বলেছিল কিছু হবে নাÑ হলে নিয়ে আসবেন পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। বাস্তবে তা করে দেয় নাই। দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই ক্রেতা বলেন ডাকাতি কাকে বলে এই ব্যবসায়ী সেটা জানে। শুধু ডাকাতি করে বল্লে ভূল হবে সাথে পোশাকের চরিত্র হরণও করে। যার কারণে আমি এই দোকানকে বয়কট করেছি।

বাবু ডালী নামের এক ক্রেতা বলেন, সান্তাহারে ভালো মানের কাপড় দু একটি দোকানে পাওয়া যায়। প্রথম দিকে স্টাইল জোন দোকানে কাপড় ভালো মানের উঠতো। কিন্ত দোকানে ক্রেতাদের চাহিদা বারার পর থেকে কাপড়ের মান ভালো না। এমনকি পোশাক বিক্রি করতে প্রতারণা করেছে। আর দাম আকাশ ছোঁয়া। সে প্রতারণা করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। দাম বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে এক পিসই আছে। এই পোশাক অন্য কোথাও আর পাবেন নাÑ তাই দাম একটু বেশি। তবে বাস্তবে দেখা যায়. উল্টো চিত্র। বরং অন্য দোকানে একই পোশাক আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

স্টাইল জোন দোকানির ঘনিষ্ঠ বন্ধু চয়ন তালুকদার আক্ষেপ করে বলেন, ওই দোকানি আমার ছোট বেলার বন্ধু। সে যখন ব্যবসা শুরু করে তখন আমি তার পাশে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে তার দোকানের কাপড়ের মান ভালো না। দাম তুলনামূলক অন্য দোকানে থেকে প্রায় দুই থেকে তিনগুন নেয়। বগুড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযাগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ