কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

দুদকের মামলার আসামীরা হলো, রুয়েট ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ’র অধ্যাপক ও সাবেক-উপাচার্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ ও ইইই বিভাগ’র অধ্যাপক ও সাবেক-ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার ড. মো সেলিম হোসেন। আসামীদের বিরুদ্ধে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামীরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যদেরকে লাভবান করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীগনকে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর প্রদান করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৬ জন সেকশন অফিসারের স্থলে ১৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের অনুমোদন ও শুন্য পদ না থাকলেও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের বিপরীতে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

পিএ টু ভিসি/ডিরেকটর পদে ২ জনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ডাটাএন্ট্রি অপারেটর পদে ১ জনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও ২ জনকে, মালি পদে ৩ জনের বিপরীতে ৭ জনকে, ড্রাইভার পদে ১ জনের বিপরীতে ৩ জনকে, সহকারী কুক পদে ৩ জনের বিপরীতে ৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করেছেন। অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বেতন ভাতাবাবদ সরকারের মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ অনুসন্ধান শুরু করি। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর গেল সপ্তাহে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মামলা করা হলো।
তিনি আরোও বলেন, দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ