নাটোরে স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ৪ জন আটক

আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ণ


নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের নলডাঙ্গায় মো. হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় ৪ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত হিমেল উপজেলার পিপরুল (সেন্টার) গ্রামের মো. ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। এঘটনায় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটি এম মাইনুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনগত রাতে পিপরুল ইউপির পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনের ভিতর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। এছাড়া আটক সন্দেহভাজন নিহত হিমেলের বন্ধু পার্থ সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো-একই এলাকার পার্থ, মেহেদি সজুন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠি বলে জানা গেছে।

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পার্থ নামে সহপাঠি এক বন্ধু মোবাইল ফোনে হিমেলকে পিপরুল ইউপির পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে স্বজনরা তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে তারা থানা পুলিশকে জানান।

এ অবস্থায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রকে হিমেলকে উদ্ধারে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হিমেলের অপর বন্ধু মেহেদীসহ শিমুল ও সুজন নামে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহত স্কুল ছাত্রকে হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার মুখের ভিতর পলিথিন কাগজ ঢোকানো ছিল। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এদিকে স্কুল ছাত্রকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ-সুপার এটি.এম মাইনুল ইসলাম, পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ-চেয়ারম্যান কলিমুদ্দিনসহ আরও পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ