প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মজয়ন্তী আজ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘ভক্তি আসে রিক্তহস্ত প্রসন্নবদন-
অতিভক্তি বলে, দেখি কি পাইলে ধন।
ভক্তি কয়, মনে পাই, না পারি দেখাতে।
আমি পাই হাতে হাতে।’

ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভক্তির সাধক ভক্তের সাধন, প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮৮ তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮ ফেব্রুয়াারি ১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী।

কথিত আছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণের যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কামারপুকুর বাটিতে তাদের শিব মন্দির চন্দ্রালোতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল। রামকৃষ্ণদেবের গড়নে ছিল দৈবিকভাব।
পরবর্তীতে পিতার ইচ্ছায় গয়াতে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষ্ণু মন্ত্রে দীক্ষিত হন। সেই থেকেই পথচলা শুরু। প্রেমের সারমর্মে দীক্ষিত করতে চেয়েছেন সারা বিশ্বকে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নিজের অমৃতকথার প্রসার করেছেন রামকৃষ্ণদেবে।

১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি ঠাকুর রামকৃষ্ণের দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরে ‘মা কালি’র পূজারি হিসেবে নিয়ে আসেন। ‘কালি আমার মা, কালি জগৎ-এর মা’, এই মন্ত্র ধ্বনিত হত সারা দক্ষিণেশ্বরে। এমনকী, তাঁর স্ত্রী মা সারদাকেও মাতৃ রূপে তিনি পুজো করেন। নারী শক্তির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা-ভক্তি এবং সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন আজও সারা পৃথিবীর কাছে শিক্ষণীয়।
প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার, স্বামী বিবেকানন্দ, শিবনাথ শাস্ত্রী, কেশব চন্দ্র সেন প্রমুখেরা তাঁর মন্ত্র-আদর্শে দীক্ষিত হোন।