মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে ৬ ধাপ পেছনে

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশকে গতির প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতেই হবে


মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিঙে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর মোটেও উৎসাহব্যঞ্জক নয়। ইন্টারনেট গতি ক্রমোন্নতির প্রত্যাশা যখন তখনই অধোগতিভাবাবে এটাই স্বাভাবিক।

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী- প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিঙে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮। বাংলাদেশের চেয়ে দ্বীপ দেশ মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিঙে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগ পার করে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর ম্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ইন্টারনেট গতির বিষয়টি অপরিহার্য। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেকটা পথ এগিয়েছে বটে। অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায়ই পূরণ করতে পেরেছে বর্তমান সরকার। কিন্তু ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত উন্নতি এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি। বলার উপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের মানুষ ম্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যাশিত পথেরই যাত্রী।

ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ার পূর্বে সরকারি-বেসরকারি সেবার জন্য সেবাগ্রহীতাকে অবশ্যই সেবাদাতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু ভিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাগ্রহীতা নিজ বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে বা ইন্টারনেটে একই সেবা গ্রহণ করতে পারে। যেমন-আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। অনলাইনেই টিকেটের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এভাবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের ব্যাপারটি ই-সার্ভিস বা ই-সেবা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরসমূহের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই অনেক ই-সেবা চালু হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ, ই-পুর্জি, ই-পর্চা, ই-টিকেট, টেলিমেডিসিন, অনলাইন আয়কর হিসাব করার ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।
এসব সেবা পেতে ইন্টারনেই গতি বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে উন্নীত করতেই হবে। তখন কেবলই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ দ্রুত সফল করতে সক্ষম হবো।