রাবির ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে অডিট আপত্তি ইউজিসি’র

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৪, ২:৫০ অপরাহ্ণ

 

রাবির ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে অডিট আপত্তি ইউজিসি'র

রাবি প্রতিবেদক:


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অডিট আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অডিট আপত্তিগুলো দুই ধরনের। এর একটি সাধারণ, অন্যটি অগ্রীম। রাবির বিরুদ্ধে সাধারণ আপত্তি ১২টি, আর অগ্রীম আপত্তি ৪টি। অগ্রীম আপত্তির ৪টিতে ২ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার এবং সাধারণ আপত্তির ১২টিতে টাকার পরিমাণ ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৫ হাজার। মোট ১৬টি আপত্তির বিপরীতে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার টাকার আপত্তি দেখানো হয়েছে।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২’ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। অডিট আপত্তির তথ্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর ও রাবি প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করা হয় ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ বলছেন, উনি গতকাল (২৫ মার্চ) এবিষয়ে জানতে পেরেছেন।

শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, বিভিন্ন সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অডিট আপত্তিগুলো দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই গুরুতর আর্থিক অনিয়ম, যা ধরন হিসেবে ‘অগ্রীম’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ আপত্তিগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের সুপারিশ করেছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

ইউজিসি’র বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের অডিট শাখা কর্তৃক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বিএসআর-এর ওপর লিখিত মন্তব্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণের বিবরণী থেকে এই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অডিট আপত্তি দেখানো হয়েছে সেটি ২০২০-২০২১ সালের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় রাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, গতকাল (২৫ মার্চ) আমি শুনলাম যে, ইউজিসি’র অডিট আপত্তিপত্র এসেছে। ওইটা আমাদের অডিট সেলে আছে। দেখতে হবে। এরপর বিস্তারিত বলতে পারবো।

ইউজিসি’র প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আর্থিক অনিয়মে জড়িত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয়শো কোটি টাকার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ