হত্যা মামলায় জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লজিক কারাগারে

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ


জয়পুরহাট প্রতিনিধি:


জয়পুরহাট জেলা আ‘লীগের সাংগঠনিক-সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আ. ন. ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিককে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে কালাই উপজেলার মাত্রাই বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বগুড়া ইউনিটের সদস্যরা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) তাকে খোতেজা বেগম নামে এক নারীকে হত্যা মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ আলী বলেন, ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট সকালে জমিজমার দ্বন্দ্বের জেরে মাত্রাই এলাকায় মোজাহার আলী সরদারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ নুরুন্নবীদের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খোতেজা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মাথায় কোদালের কোপ দেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। এতে খোতেজা বেগম এবং তার ছেলে লুৎফর রহমান আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

সেখানে খোতেজার অবস্থার অবনতি হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোতেজা বেগম মৃত্যু বরণ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. ন. ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিককে এক নম্বর (হুকুমের) আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে আসামি করা হয় আরও ১৯ জনকে।

তৎকালীন কালাই থানার উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান এবং জয়পুরহাট সিআইডির ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান মামলাটি তদন্ত করেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তারা লজিকসহ প্রথম তিনজন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আরজি জানিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অব্যাহতির কারণ হিসেবে দেখানো হয়, ঘটনার সময় আ. ন. ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক ও মাহমুদুন্নবী সুজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। অপর আসামি মোফাজ্জল হোসেন মৃত্যু বরণ করেছেন।

এরই মধ্যে মামলার বাদী মোজাহার আলী সরদারও মারা যান। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মোজাহার আলী সরদারের ছেলে লুৎফর রহমান বাদী হিসেবে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পিবিআই ওই মামলায় লজিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলেন। আদালতের বিচারক আতিকুর রহমান তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।