৬৫ টাকার স্যালাইন ১২ শো টাকা! কারো করার কিছু নেই?

আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

রাজশাহী মহানগরীতে শিশুদের নিওমোনিয়া স্যালাইনের সঙ্কট চলছে। একেবারে বাজারছাড়াÑঅনেক বেশি দাম দিলে তবে পাওয়া যায়। বর্ধিত দামকে অস্বাভাবিক বললেও দাম বাড়ানোর ধৃষ্টতাকে উপলব্ধি করা যাবে না। মাত্র ৬৫ টাকার স্যালাইন অনেক কসরত করে পাওয়া যাচ্ছে ১২ শো টাকায়! ফার্মেসিগুলো থেকে এই স্যালাইন উধাও হয়ে গেল কেন? সারা দেশেই কি এই স্যালাইনের অভাব চলছে নাকি ফ্যাক্টরি পর্যায় থেকেই উৎপাদন কমে গেছে? কিংবা উৎপাদন ঠিকই আছে- সিন্ডিকেশন করে স্বার্থান্বেষি মহল দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটে নিচ্ছে? এই সিন্ডিকেট কারা তৈরি করছে? ওষুধ প্রশাসন বিষয়টি দেকভাল করছে কি? এ রকম নানা প্রশ্ন সামনে আসছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগিরা সাধারণত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব মানুষকে জিম্মি করে ওষুধের ‘গলাকাটা’ দাম আদায় করার চেয়ে অমানবিক আর কী হতে পারে! অথচ এ ধরনের অমানবিক কাজ প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। সিন্ডিকেটের লাগামহীন দৌরাত্ম্য দেখে এটা বলা অস্বাভাবিক নয় যে, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই!

মানুষ অনেক কিছুতেই আপোষ করে, সমঝোতা করে- কিন্তু প্রিয়জনের চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো আপোস-সমঝোতা করে না। সর্বস্ব দিয়ে হলেও প্রিয়জনকে সুস্থ করে তুলতে চায়। তাতে সে হোক না দেউলিয়া হয়ে যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা জনমানুষের একান্ত এই আবেগকে পুঁজি করে ধিকৃত-বিকৃত ব্যবসার পসার গড়ে তোলে। তাদের এই আচরণে সাধারণ মানুষকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এসব মানুষের পকেট কেটে ফায়দা লুটে স্বার্থান্বেষীরা। শিশুদের বিষয়টিও এরা গ্রাহ্য করে না। নিঃসন্দেহে এটা নিষ্ঠুরতার গল্প। রোগিদের নিয়ে নিষ্ঠুরতা, শিশুদের নিয়ে নিষ্ঠুরতা। এটা শুধু বন্ধ হওয়াই নয়Ñ সিন্ডিকেশনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে।
বাজারে শিশুদের নিওমনিয়া স্যালাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে সেটাই প্রত্যাাশিত।