নতুন বছরে তরুণদের প্রত্যাশা

আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বিদায় ২০২৩ খ্রি.। আরও একটি বছর শেষ, মানে আরেকটি নতুন বছর আসা। পাওয়া না পাওয়ার গ্লানি মুছে নতুন বছরে ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। এটাই নিয়ম। যেমন, ২০২৩ সাল বিদায় নিল। আমরা পেলাম নতুন একটি বছর, ২০২৪ সাল। নতুন বছর মানেই সাধারণত নতুন কিছু। মানুষ নতুন কিছু নিতে চাইলে সবসময় ভালোটাই চাই। সবসময় পুরনো জিনিসটার চেয়ে আমরা ভালো জিনিসটাই খুঁজি এবং সেটাই নেই।

২০২৩ সালের সব ভুলভ্রান্তি ভুলে সবাই চাই আরও সুন্দর এবং সাজানো-গোছানো একটি বছর। নতুন বছরটা আমাদের শুরু করতে হবে সুন্দর পরিকল্পনা দিয়ে। তরুণদের কথা মাথায় রেখে নতুন বছরে কাজ শুরুর প্রত্যাশা। দেশের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই তরুণদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমার।

তরুণরা জানায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ দিতে হবে। তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে প্রচুর। ব্যাপক কর্মসংস্থানের ফলে বেকার যুবকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। নতুবা সমাজে নানা ধরনের অরাজতা সৃষ্টি হবে। তরুণদের বসিয়ে না রেখে কাজে লাগাতে হবে। কাজে ব্যস্ত তরুণরা একদিকে মাদক থেকে দ্রুত থাকবে, অপরদিকে তাদের উপার্জনে গতি পাবে অর্থনীতি।

একাদশ শ্রেণির ছাত্র আকাশ হোসেন। তার চোখে নতুন বছরের প্রত্যাশাটা এমন ছিল- ২০২৪ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন প্রত্যাশার বছর। এটি নির্বাচনের বছর। বছরটির শুরুর সপ্তায় নির্বাচন। শুরুতে তার প্রত্যাশা একটি উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই সবার ভোট দেবে। সরকার যে দলেরই হোক, তরুণদের প্র্যত্যাশাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তার প্রত্যাশা বর্তমান প্রজন্ম কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। সেই কাজটির সুযোগ করে দিতে হবে তাদের।

শিক্ষার্থী নূর ইসলাম বলেন, তরুণদের নিয়ে যদি ছিনিমিনি খেলা হয়, তবে সেটা দেশের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তাই তরুণদের পাশে থেকে তাদের সুযোগ দিতে হবে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ খেলাধূলা পছন্দের। কিন্তু খেলার মাঠের সংকট। অবসর সময়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার অন্যতম উপায় হচ্ছে খেলাধুলা। ফলে অবসর সময় তারা বিভিন্ন ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় দিচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খারুজ্জামান লিটন তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়টি তার নির্বাচনের ইশতিহারের বলেছিলেন। নতুন বছরে রাজশাহীর তরুণরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ি কর্মসংস্থান চাই। রাজশাহীতে অনেক শিক্ষিত বেকার রয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

আবির সিয়াম বলেন, তরুণ সমাজকে মাদকের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের কাজের পাশাপশি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। নেশার হাত থেকে তরুণদের রক্ষা করতে হবে। ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য তরুণদের হাতের নাগালে। এখান থেকে তরুণদের বের করে নিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজকে মাদকের বিস্তার রক্ষা করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের প্রত্যাশাগুলো মাথায় রেখে কাজ শুরু করার অনুরোধ জানান নতুন সরকারের প্রতি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ