ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি, আটক ৪

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর চরের জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার একদিন পেরুলেও এখনো মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার সময় ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহত ও আহতদের উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে আলাদা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে, তবে এখনো মামলার অভিযোগ জমা দেয়নি কোন পক্ষই।

ঈশ্বরদীতে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে সংঘঠিত সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হওয়া ছাড়াও এতে উভয়পক্ষের অন্তত: ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসির উদ্দিন (৩০), মিঠুন আলী (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০), জিল্লুর রহমান, ওলিউর রহমান, আব্দুল মজিদ, ইছাই প্রামানিকসহ অন্যান্যরা ঈশ্বরদী ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অন্তত দশজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষে নিহত খায়রুল চরগড়গড়ি গ্রামের নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের কর্মী এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলন প্রামানিক বলেন, পদ্মা নদীর চরের জমিজমা নিয়ে খায়রুল ইসলাম ও তার প্রতিপক্ষ রিয়াজুল ব্যাপারির সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে আলহাজ¦ মোড় এলাকায় তাদের দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারামারি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। চরগড়গড়ি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ