নগরীতে বেপরোয়া কিশোর বাইকার

আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

পথচলা নিরাপদ হোক
বাইকার- এ যেন মূর্তমান যমদূত। সেকেন্ডের বিচ্যুতি বয়ে আনতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই নগরীতেই এমন ঘটনা বিরল নয়। এমন দুর্গটনায় বাইকারের যেমন অকাল মৃত্যু হয়, তেমনি পথচারিরাও ভীষণ রকমের অনিরাপদ। এসব বাইকারদের অধিকাংশ কিশোর, তরুণরাও আছেন। বাইকার যখন নগরীর রাস্তা দিয়ে বাইক চালায় তা অনেকটা ‘ক্ষিপ্ত বুনো ষাঁড়’-এর মত মনে হয়। পথচারি নিরাপদ স্থানে থাকলেও বুক তার ভয়ে দুরু দুরু। ‘সড়ক-সন্ত্রাস’ যাকে বলে।

মূলতঃ হিরোইজম প্রদর্শন করাই আতঙ্কছড়ানো বাইকারদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। তরুণীদের সামনে আরো বেপরোয়া বাইক চালায়, নানা রকম চমক প্রদর্শনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সোনার দেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছেÑ ইদ-উৎসবে বাইকারদের দৌরত্ম্য অধিক বৃদ্ধি পায়। ইদের আগে ও পরে কয়েকদিন বাইকাররা বেয়াড়া আচরণ করে থাকে। বিনোদন স্পটগুলোতে ভয়ানক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এবারের ইদেও এর অন্যথা হবে না বলেই ধারণা।

তাই বলে পুলিশের করার কি কিছুই নেই? পাল্টা প্রশ্নও আসতে পারে পুলিশ কতটুকুই বা সামলাবে। যতটুকু সামলানো যায় ততটুকু সামাল দিলেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু সেটুকু হয় না। এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো দুর্বলতাও থাকলে থাকতে পারে। কিন্তু সমস্যাটার সমাধান হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

সোনার দেশ এর খবর, থানায় লিখিত অভিযোগে পেলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করবে। তবে অধিকাংশ ঘটনায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে বিড়ম্বনার ভয়ে অধিকাংশ ঘটনা থানা পর্যন্ত যায় না। কিন্তু বাইকাররা তো নগরীতে প্রকাশ্যেই ভয়-আতঙ্ক ছড়ায়। সব ক্ষেত্রে অভিযোগ করতেই হবে কেন? স্বপ্রণোদিতভাবে পুলিশ আইনি উদ্যোগ নিলে বাইকারদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমতে পারে। নতুবা বাইকাররা বেপরোয়া বাইক চালানোয় উৎসাহিতই হবে।