নাটোরে প্রার্থী অপহরণ, মারপিট

আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

দুর্বৃত্তরা যাতে দায়মুক্তি না পায়
নাটোরে উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে যে ধরনের সহিংসতা হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। এখনই পরিস্থিতির রাশ টেনে ধরতে না পারলে ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে অনলাইনে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেয়ার জন্য বের হন। এ সময় প্রার্থী ও তার ভাই জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে ১৫-২০ জন দুবৃত্তরা ভাই আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা দেলওয়ার হোসেনকে গাড়ির ভিতর মারধর করে। পরে বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

একইভাবে আলাউদ্দিন মুন্সিকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। পরে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অচেতন অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে রাত ২টার দিকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এই ঘটনা নাটোরসহ সারা দেশে আলোচিত হয়েছে। একই সাথে এই ঘটনা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নির্বাচনে অপহরণ কিংবা পেশিশক্তির উপদ্রুব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এমনিতেই নির্বাচন নিয়ে সাধারণের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না। ভোটের সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করাটা গণতন্ত্রের স্বার্থেই অপরিহার্য।

নির্বাচন অফিস চত্বর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এই ঘটনার সাথে যে বা যারাই এবং তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে।