বুধবার, ৮ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
মালদহের সভায় অভাবনীয় সাড়া পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আবেগের বশে মোদি বলে গেলেন, ‘এতো ভালোবাসা কপালে জোটে না। মনে হয় আমি গত জন্মে বাংলায় জন্মেছিলাম। অথবা, পরের জন্মে আমি বাংলায় জন্ম নিতে চলেছি।’
মালদহের সভার শুরু থেকেই নিজেকে বাংলার ‘আপন’ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে গেলেন মোদি। বলে গেলেন, শিল্প, সংস্কৃতি, দর্শন, প্রগতি, সবেতেই এগিয়ে ছিল বাংলা। সেই বাংলা আজ ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার বাংলাকে এভাবে ভেঙে পড়তে দেব না। আপনাদের ভালোবাসা ব্যর্থ হতে দেব না। এই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেব।’
মোদির ভাষণের মাঝেই বার বার কলরব তুলেছে উদ্বেল জনতা। ‘মোদি মোদি’ রবের চোটে একাধিকবার ভাষণ থামাতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সমর্থকদের অনুরোধ করতে হয়েছে, ‘একটু শান্ত হয়ে শুনুন, আমাকে বলতে দিন।’ ভিড় দেখে আপ্লুত মোদি এর পরই বলেছেন, ‘আপনাদের এই উৎসাহ, ভালোবাসা আমি মাথায় করে রাখবো।
আপনারা আমাকে এতো ভালোবাসছেন, মনে হচ্ছে আমি হয় গত জন্মে বাংলায় জন্মেছিলাম। নয়তো পরের জন্মে আমি বাংলায় জন্ম নিতে চলেছি। এতো ভালোবাসা কপালে জোটে না।’ মোদির মুখের এই মন্তব্য উৎসাহ আরো বাড়িয়ে দেয় জনতার। চিৎকার দ্বিগুণ হয়। ফের শান্ত করতে অনুরোধ করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। দেখে মনে হতে পারে, সত্যিই যেন বাংলার সঙ্গে আবেগের যোগাযোগ মোদির।
তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য শুধু আবেগের ফসল নয়। এর নেপথ্যেও রয়েছে ভোট অঙ্ক। ২০২১-এর মতো এবারেও ‘বহিরাগত’ তাস খেলছে তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদলের এবারের ভোটের স্লোগান, ‘তৃণমূলের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।’
মোদি তথা বিজেপিকে এই ‘বাংলা বিরোধী’ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টার কোনো কসুর করছে না তৃণমূল। সম্ভবত সেই প্রচারেরই পালটা দিতে বাংলার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা এমন ফলাও করে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন